জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সমৃদ্ধ দীঘিনালা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ৩৪ তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা নিজের বর্তমান কর্মস্থল দীঘিনালা উপজেলাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, কৃষি সহ সকল ক্ষেত্রে একটি সমৃদ্ধ উপজেলা বিনির্মানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
২০২২ সালের ২৫ জুলাই দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের পর থেকেই তাঁর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টেছে উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সহ পুরো উপজেলার সার্বিক চিত্র।
সরকারি, বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরে কমেছে জন ভোগান্তি। ফিরে এসেছে সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা। বেড়েছে জনসেবার মানও।
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা মতে দীঘিনালাকে একটি উন্নত, আধুনিক, জনবান্ধন ও শিক্ষা বান্ধব সহ সকল ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে একটি অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে উপজেলার নামও দিয়েছেন 'সমৃদ্ধ দীঘিনালা'। সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাঁকে সমৃদ্ধ দীঘিনালা গড়ার কারিগর বলে থাকেন।
জনবান্ধন ও শিক্ষা বান্ধব এই কর্মকর্তার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ সহ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন উপজেলার আপামর জনতা, সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
এছাড়াও দাপ্তরিক কাজের বাইরেও সর্বক্ষেত্রে রয়েছে এই কর্মকর্তার পদচারণা। অবসর সময় পেলেই ছুটে বেড়ান মাঠ, ঘাট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সকলের মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছেন সুশিক্ষা, দেশপ্রেম ও আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার বার্তা। উপজেলার প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার মানোন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন তিনি। খোঁজখবর রাখেন উপজেলার অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা সাধারণ মানুষ সহ সর্বস্থরের জনগনের। নিজ দায়িত্বে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রকৃত উপকার ভোগীদের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীন দেয়া উপহার গৃহ সহ প্রশাসনিক সেবা কার্যক্রম।
উপজেলার রশিক নগরের উপকার ভোগী রেহানা আক্তার বলেন, আমার থাকার মতো ঘর ছিলোনা। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটতো। ইউএনও স্যার এসে যাচাই-বাছাই করে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় আমাকে একটি ঘর দিয়েছেন।
উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়া (আশ্রম) এলাকার সাজু আক্তার বলেন, ভালো একটি থাকার ঘর না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে আসছি। ইউএনও স্যার বাড়িতে এসে আমার অবস্থান বিবেচনা করে আমাকে একটি ঘর দেন।
এছাড়াও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের পাহাড়ি, বাঙালি সহ সকল শ্রেণি-পেশার উপকার ভোগী মানুষ উপকারের কথা স্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, জনগনের সেবা করার জন্য এসেছি। একজন সরকারি কর্মকর্তা ও জনগনের সেবক হিসেবে নিজে কি পেলাম সেটা বড় কিছু নয়। অর্পিত দায়িত্ব, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাই মূখ্য বিষয়। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনের চেষ্টা করি সবসময়। জানিয়ে কতটুকু করতে পেরেছি। তবে আমার বর্তমান কর্মস্থল দীঘিনালা উপজেলাকে একটি আলোকিত, অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সমৃদ্ধ দীঘিনালা উপজেলা গড়ে তুলতে এই উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা আমার একান্ত কাম্য।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত