পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে থেকে পাহাড়ে ভূমি বন্দোবস্তি বন্ধ। তাই বিষয়টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনে আলোচনা করে আইন সংশোধন করে এই ৩৬টি ম্রো ও ত্রিপুরা পরিবারকে ভূমি বন্দোবস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও ৩৬টি ম্রো ত্রিপুরাদের মধ্যে জমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাব কমিটি ২ এর আহ্বায়ক রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী একথা বলেন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সাব-কমিটির উচ্চ পদস্থরা ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজাস্থ বিতর্কিত ভূমি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন দলে ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলার সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি ও সংরক্ষিত (পার্বত্য) নারী সাংসদ বাসন্তি চাকমা। সাব কমিটির নেতৃদ্বয় সরেজমিন তদন্তকালে ম্রো-ত্রিপুরা, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লোকজন, সংশ্লিষ্ট হেডম্যান, কারবারী ও জন প্রতিনিধিদের কথা শুনেন।
এসময় এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আরও বলেন, “বিষয়টি দ্রুত সময়ে মিমাংসা করা দরকার, অন্যথায় সময় যত গড়াবে সবাই তত ক্ষতিগ্রস্থ হবে”।
এ সময় বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তীবরীজি, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম পিপিএম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানী বিরাজমান পরিস্থিতির সারমর্ম তুলে ধরেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘ইতোপূর্বে জেলার শীর্ষস্থানীয়দের প্রস্তাবনানুযায়ী ৩৬ টি পরিবারকে ৫ একর করে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শ্মশানের জন্য মোট দুই’শ ৬ একর জমি প্রদানের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু ম্রো ত্রিপুরাদের একাংশ প্রস্তাবটি নাকচ করেন। এর ফলে বিরোধটি মিমাংসা করা যাচ্ছেনা।’
এসময় সাব কমিটির সদস্য সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার জানতে চান, “এখানে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি আছে কিনা; থাকলে তাদের অবস্থান কত দূরে”। এই প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম পিপিএম বলেন, “সন্ত্রাসীদের এ রকম কোন স্থায়ী অবস্থান এখানে নেই”।
শেষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তীবরীজি বলেন,” বন্দোবস্তির বিধান চালু করলে আমি অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিব”।
এ সময় লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল সাব কমিটিকে অবহিত করে বলেন, ” বিরোধ মিমাংসা করতে তাদের দাবি পুরণের লক্ষে আমার অফিসেও বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ম্রো ত্রিপুরারা সব কিছু মেনে নেয়, কিন্তু পরবর্তীতে ৩য় কোনো পক্ষের ইন্ধনে সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায়”।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এম এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত