লামায় অপ-সাংবাদিকতা রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সাংবাদিকদের সংগঠন লামা প্রেসক্লাবসহ ভাতৃপ্রতীম অপরাপর প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।
সম্প্রতি লামা উপজেলায় সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় ব্যাক্তিদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহল। রাতের আঁধারে সড়কে গরুর গাড়ি থামিয়ে, বিভিন্ন স্পটে গাছের ডিপোতে গিয়ে ও সরকারের উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করার অহরহ অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে একটি চক্র সাধারণ মানুষকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনধিকার চর্চার মাধ্যমে সাংবাদিকতার মহান পেশাকে কলুষিত করে চলছে। এরা পত্রিকার কার্ড বানিয়ে, যাকে তাকে কার্ড ধরিয়ে দিয়ে নিজেরা একটি সংগঠন তৈরি করে। এর পর ৫/৬ জন জোট বেঁধে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়। এই অবস্থায় অপ-সাংবাদিকতা রোধে লামা প্রেসক্লাব, রিপোররটার্স ক্লাব, সাংবাদিক ফোরাম ও লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ লামা পেশাদার সিনিয়র সাংবাদিকরা। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ১৪ এপ্রিল সন্ধায় লামা প্রেসক্লাব হলরুমে পেশাদার সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এক জরুরী সভায় অপ-সাংবাদিতার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, প্রেসক্লাব সহসভাপতি তানফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো:কামরুজ্জামান, রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মো: তৈয়ুব আলী, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি ইউছুপ মজুমদার, লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামালুদ্দিন।
বৈঠকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, "আমরা মনে করি, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের মাধ্যমে সাংবাদিকরা দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের নীতিমালা মেনে আমরা কাজ করছি। গুটি কয়েক ভূইফোড় সাংবাদিক পরিচয়দানকারী চাঁদাবাজ মানুষের কাছে হার মানা যাবে না। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের আপোষহীন থাকতে হবে। থাকতে হবে গণতন্ত্র ও শান্তির পক্ষে। এ জন্য প্রয়োজন সাংবাদিকদের জনমত গড়ে তোলা। অত্যান্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু চিহ্নিত বখাটে নেশাখোর, লম্পট প্রকৃতির লোক সাংবাদিক কার্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলছে। ফলে প্রকৃত পেশাদার সংবাদ কর্মিরা বিব্রত হচ্ছেন। এই বাস্তবতায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী মহল সকলে এক হয়ে অপ-সাংবাদিকতাকে 'না' বলতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে সবাইকে"।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত