সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন যে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন, এরমধ্যে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) প্রভিশন অনুযায়ী পিডিবি-৪ এর দুইভাবে বেতন পাওয়ার কথা।
২৬ হাজারের কাছাকাছি যাদের বেতন, তারা পাবেন পিডিবি-৪ এর প্রকল্প থেকে। আর বাকিরা পাবেন রাজস্ব থেকে।
‘এভাবে নিয়োগপত্রে ডিপিই দলিল অনুসারে আমরা শর্ত আরোপ করেছিলাম। আগে শিক্ষকদের বেতনভাতা আইবাসের মাধ্যমে হতো না, এখন যেহেতু আইবাস প্লাস প্লাসে গিয়েছে, সে কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে যে যেহেতু তারা রাজস্ব খাতের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক। আর ডিপিই-তে বলা আছে, প্রকল্প চলাকালীন প্রকল্প খাত থেকে পাবেন, তারপর রাজস্বতে যাবেন, এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল,’ যোগ করেন সচিব।
তিনি বলেন, ‘আইবাস প্লাস প্লাসের সঙ্গে এটি খাপ খায়নি। এ কারণে ২৬ হাজার বেতন যাদের, তাদের ক্ষেত্রে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল (রোববার) আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ সভা ডেকেছিল, গতকাল বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন আর তারা প্রকল্প থেকে পাবেন না। সবাই রাজস্ব খাত থেকে পাবেন। আইবাস প্লাস প্লাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এটি করা হয়েছে। ’
এ প্রক্রিয়াটি করতে সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচদিন সময় লাগবে। অর্থাৎ ঈদের আগেই সবাই রাজস্ব খাত থেকে বেতন পাবেন বলে জানালেন ফরিদ আহাম্মদ।
সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণে সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম (আইবাস++)। চলতি বছর দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সার্কুলারে একবারে প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়।
নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত