কুতুবজোম তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু”পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন লোক গুরুত্বর আহত হয়েছে।বুধবার বিকেল ৫ টায় মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বটতলী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে ফরিদ আলম ফজরের নামাজের জামাত তাড়াতাড়ি’য় হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ইমাম/মোয়াজ্জেম ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে নাছির উদ্দীন বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দু”পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহতরা হলেন, উপজেলার বটতলী গ্রামের
মৃত আবুল শামা ছেলে নাছির উদ্দীন, আজিজুল হকের ছেলে মোহাম্মদ রাফি, আবুল কাছিম ছেলে জুয়েল, মৃত গুরা চানের পুত্র আবুল কাছিম ও
আবুল কালাম ও একি এলাকার প্রতিপক্ষের হামিদ বকসুর পুত্র নুরুল আবছার, মৃত বদিউল আলমের পুত্র দেলোয়ার, আজম, রিয়াজ’সহ উভয় পক্ষের আরো অনেকে।
এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ৮ জন লোক গুরুত্বর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় নাছির উদ্দীন ও আহত আজিজুল হকের পুত্র কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্র রাফি’কে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে আহত নাছির উদ্দীনের আঘাত গুরুত্ব হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কতৃব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
থানা পুলিশ এজাহার সূত্রে জানা যায়, মৃত লাল মিয়া’র পুত্র ফরিদ আলমের সঙ্গে গত ২৫ শে মার্চ ফজরের নামাজের জামাত তাড়াতাড়ি’য় হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ইমাম/মোয়াজ্জেম বাকবিতন্ড সংক্রান্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলে প্রতিবেশি নাছির উদ্দীন ও রাফি উক্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটি না করাতে নিষেধ করায় তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধরের হুমকী দেয়।
এই জের ধরে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে রাফি নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতে দেখে ফোরকান আহমদ পুত্র জয়নাল আবেদীন মেম্বার নেতৃত্বে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮ জন আহত ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে আশংকাজনক ২ জনকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত অন্য ৫ জনকে এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত