সরেজমিনে দেখা যায়, সত্তরোর্ধ্ব আছিয়া খাতুনের চোখে মুখে বাঁধভাঙা আনন্দের উচ্ছ্বাস। কয়দিন আগেও অন্যের বসত ভিটায় ভূমি ও গৃহহীন আছিয়ার ঠিকানা হলেও এখন তার নিজের ঘর হয়েছে। স্বাধীনতার মাসে আছিয়ার মতো ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর উপহার দিয়েছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার যামিনীপাড়া জোন, ২৩ বিজিবি। শুধু ঘর নয়, সাথে দেয়া হয়েছে আসবাবপত্র, নলকূপসহ গৃহস্থালির যাবতীয় সামগ্রী।
শুধু আছিয়া খাতুনি নয় যামিনীপাড়া জোনের আওতাধীন তবলছড়ি, বর্ণাল ও তাইদং ইউনিয়নের দূর্গম এলাকার ১৭টি পাহাড়ি বাঙ্গালী পরিবারকে দেয়া হয়েছে এ ঘর। আর্থিক ভাবে অস্বছল, প্রতিবন্ধী, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভূমিহীন পরিবার গুলাে পেয়েছেন টিন ও কাঠের তৈরী ঘর গুলাে। সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় নিজে গিয়ে ঘর গুলাে হস্তান্তর করেন জোন অধিনায়ক নিজেই। এমন উপহারে খুশি সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলাে।
বিজিবি’র নিজস্ব অর্থায়নে হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য এমন উদ্যাগকে ইতিবাচক বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আর অর্পিত দায়িত্বের পাশাপাশি এ ধরণের আর্ত সামাজিক উনয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন যামিনীপাড়া জােন (২৩ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ বি এম জাহিদুল করিম,
সতেরটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। যামিনীপাড়া জোন (২৩ বিজিবি)র এ মহতি উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
অবদানকে অস্বীকার করলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইস উদ্দিন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, জোনের মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মোঃ আশিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও স্বাধীনতা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ বিষয়ক জোন কামান্ডার কুইজ প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬০জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। এতে ৪০ জনকে ২ বছর এবং ২০ জনকে ১ বছর করে বিনা বেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এম/এস