মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ভবনটির অর্ধেক নদীগর্ভে চলে যায়। বাকী অর্ধেক ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে। এর আগে ওই এলাকার একটি তিনতলা বিশিষ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে ইউনিয়নটির কাজীরসুরা বাজার। এছাড়াও ইতোপূর্বে চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মা নদী সংলগ্ন কাজীরসুরা এলাকা। বহু বছর আগে গড়ে উঠা বিস্তীর্ণ এ জনপদে গত কয়েক বছর ধরে পদ্মার ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে অনেক। বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে এসে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারন করতে থাকে। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদী ভাঙন শুরু হলে ভিটেমাটি হারা হয় অসংখ্য পরিবার। নদী ভাঙনের ফলে বসতভিটা হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পরেছে কাজীরসূরা ও সংলগ্ন এলাকার সাধারন মানুষ। এছাড়াও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়নবোর্ড ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও স্রোতের তীব্রতার কারনে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন বেপারী বলেন, গত রাতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির অর্ধেক নদীতে পরে গেছে। পদ্মার ভাঙনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকীর মুখে রয়েছে পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং বাজার।