শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ইন্সটিটিউটে ২য় তম পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলনের প্রধান অতিথি থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে বের করা হয় মঙ্গলময় শোভাযাত্রা । শোভযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ইন্সটিটিউটে এসে শেষ হয়। শোভযাত্রায় অংশ নেন পার্বত্য চট্টগ্রামে শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভিক্ষু সম্মেলন।
তিনি বলেন, নিজস্ব মায়ের ভাষা শিখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রচলন করেছেন। মারমা, চাকমা ত্রিপুরাসহ বর্তমান সরকার বই ছাপিয়ে দিয়েছেন। যার যার মাতৃভাষা শিক্ষা শুরু হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছুটা শিক্ষক সংকট আছে। সেটি কাটিয়ে উঠতে বেশিদিন লাগবে না বলে যোগ করেন মন্ত্রী।
পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার বুদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু সমাজের জন্য তাঁদের রীতি নীতিকে আরো এগিয়ে নিতে পারে সেজন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছে। যার ফলে যার যার ধর্মকে সুন্দরভাবে পালন করে আসছে। তাই সকল বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী মা-বাবাদের প্রতি ধর্মের বাণী সম্পর্কে অবগত করার জন্য তার ছেলেমেয়েদের বিহারে নিয়ে অনুরোধ করেন।
সম্মেলনে বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাষ্টের বান্দরবান ট্রাষ্টেট হ্লাথোয়াই হ্রী মারমা সঞ্চালনায় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও পার্বত্য ভিক্ষু সম্মলনের সভাপতি ড, সুবর্ণ লংকারা মহাথেরো, সাধারণ সম্পাদক উঃ তেজপ্রিয় মহাথেরো, আহ্ববায়ক ভদন্ত প্রফেসর উত্তারা মহাথেরো, সদস্য সচিব ভদন্ত পঞঞাদিপা মহাথেরো সহ বৌদ্ধভভিক্ষু ও দায়ক-দায়িকা উপস্থিত ছিলেন।
এম/এস