বান্দরবানের আলীকদমে অবৈধ গরু পাচারে নিযুক্ত এক শ্রমিকের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে ।এদিকে শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানান প্রশ্ন । পরিবার বলছে, তার ছেলেকে পরিকল্পতিভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর নিহত শ্রমিকের সহকর্মী বদি আলম বলছেন, ওই যুবক পাহাড়ি গাছ পড়ে মারা গেছেন। তবে গরু পাচারকারীদের এই দাবিকে ‘নাটক’ বলছে নিহতের পরিবার।
নিহত মিসবাহ উদ্দিন নয়াপাড়া ইউনিয়নের ইছহাক কারবারি পাড়ার বাসিন্দা মহিউদ্দিনের ছেলে । আহত গিয়াস উদ্দিন নয়াপাড়া ইউনিয়নের ইছহাক সর্দার পাড়ার বাসিন্দা মৃত জাকের আহম্মদের পুত্র।
আজ শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এর আগে ভোর রাতে কুরুকপাতা ইউনিয়নের ধড়ি পাড়াস্থ এলাকায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। আরেক শ্রমিক আহত হন।
নিহত মিজবাহ উদ্দিনের সাথে গরু পাচারে নিযুক্ত আরেক শ্রমিক বদি আলম বলেন,মায়ানমার হয়ে অবৈধ চোরাই পথে আসা গরু ধড়ি পাড়া থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির মসল্লাপাড়া নিয়ে যাওয়া জন্য চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে আমরা ১০ জন যাই। ভোর রাতে ধড়ি পাড়া পাহাড়ি পথ দিয়ে মসল্লা পাড়া নিয়ে যাওয়ার সময় চারটি গরু খাদে পড়ে যায়। সেগুলো উপরে তুলে আনার সময় শুকনো গাছ পড়লে মিসবাহ উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন আহত হয়। পরে তাদের নৌকা যোগে আলীকদম সদরে আনার সময় নৌকাতে মিসবাহ উদ্দিন মারা যায়।
নিহতের বাবা মহিউদ্দিন বলেন,আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।শুকনো গাছ পড়লে শরীরের এক পাশ থেতলে যাবে কিন্তু আমার ছেলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। আর আমার নিহত ছেলেকে নিয়ে যারা এসেছে তাদের কথাবার্তা সন্দেহ জনক বলে মনে হয়েছে।
নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃকফিল উদ্দিন বলেন,আমি সঠিক ভাবে কিছু বলতে পারছি না। তবে আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করছি আঘাতের চিহৃগুলো দায়ের কোপ হতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার করে বলা যাবে এটা আসলে হত্যা নাকি দূর্ঘটনা।
এবিষয়ে আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এম/এস