পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি জনপদে মাটি খুঁড়ে কালো সোনা খ্যাত কয়লার সন্ধান পেয়েছে স্থানীয়রা। মাটিরাঙা উপজেলার আমতলী ইউনিয়ন থেকে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি সরু পাহাড়ি পথ আর ঝিরি মাড়িয়ে ৮নং ওয়ার্ডের দুর্গম বামা গোমতীতে মাটি খুঁড়ে সম্ভাব্য কয়লার খনির সন্ধান মিলেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করে নিয়ে আসছে। এই কয়লা এনে তারা শুকিয়ে বাসা বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। তবে সেখানে বেশ কয়েকটি জায়গায় এমন কয়লা আছে বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, এক বছর আগে দুর্গম পাহাড়ে কৃষি কাজ করার উদ্দেশ্যে মাটি খনন করতে গিয়ে এ কয়লার সন্ধান পান তারা। ইতোমধ্যে এসব কয়লা সংগ্রহ করে তারা রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারও করছেন। কয়লার খনি দেখতে স্থানীয়রা প্রতিদিন সেখানে ছুটে গেলেও এখনো তা প্রশাসনের নজরে আসেনি।
স্থানীয় কৃষক মো. হানিফ বলেন, প্রায় বছর খানেক আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খনন করতে গিয়ে কয়লা দেখতে পাই। পরে কৌতূহলী হয়ে এসব কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। অন্যদের জানালে অনেকেই আগ্রহী হয়ে সেসব কয়লা সংগ্রহ করে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছে।
ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মিয়া যাচাই বাছাই করে কয়লা পাওয়ার বিষয়টি যাচাই বাছাই করে কয়লা উত্তোলন করা হলে কয়লার ঘাটতি পুরন হবে। দুর্গম পাহাড়ে কয়লা পাওয়ার বিষয়টি সঠিক হলে তা পাহাড়ের বড় পাওয়া হবে বলেও মনে করেন তিনি।
মাটি খুড়ে পাওয়া কয়লা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গণি বলেন, বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে দেশে বিদ্যমান কয়লা ঘাটতি পুরণ হবে। বিদ্যুতের যে জ¦ালানী সঙ্কট রয়েছে তাও দুরীভুত হবে। পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তিনি
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউপির বামা গোমতী এলাকায় কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়রা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলব বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠায়। রিপোর্ট নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হব।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত