আজ ১৩ই সেপ্টেম্বর রবিবার, সকাল আনুমানিক ৯:৩০টায় মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল মান্দারতলা গ্রামের মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার মুন সহ আওয়ামীলীগের আরো ৭/৮ জন কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালায় নাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশীদ মুহিতের সর্মথকরা। ভুক্তভোগীরা জানান মূলত রাজনৈতিক রেষারেষি ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ও ভবিষ্যতে যেন কেউ চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দী হিসেবে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য চেয়ারম্যান মুহিতের সমর্থকরা এই ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেল ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ঘরের টিন ও বেড়াসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিসমুহ ব্যাপক ভাংচুর করে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। মুনের ভাই ইমদাদুল হক জানান হামলাকারীরা শুধু ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা রীতিমতো সোনাদানা, নগদ অর্থ সহ আনুমানিক ১ কোটি টাকার সমপরিমাণ লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে, এমনকি বাড়ির মেয়েদের গায়েও হাত তুলেছে। ওয়াপদা মোড়ে মুক্তাদির রহমানের কটনমিলেও হামলা চালানো হয় এখানে আসবাবপত্র ও কাঁচামাল ভাঙচুর করা হয় এবং শ্রমিকদের উপর নির্যাতন চালানো হয়। তাছাড়া "মান্দারতলা যুব উন্নয়ন সংঘ" নামে একটি সামাজিক সংগঠনের স্থাপনা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়, যেখানে সন্ধ্যার পরে বাচ্চারা পবিত্র কোরআন শরীফ শিক্ষা নিত । মুহিত চেয়ারম্যানের ভাতিজা এরশাদ মোল্লা ও সুজন মোল্লা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার মুনের মাকে ছেলের ছাত্রলীগের রাজনীতি না করার জন্য শাসান। মুঠোফোনে হুমায়ুন রশীদ মুহিতের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান " ওয়াপদা বাস স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হলে, একপর্যায়ে অভিযোগকারীরা যাত্রী ছাউনি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়, সেজন্য এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।" এদিকে সাধারন মানুষ মনে করে ঘটনা যায় হোক একসাথে বসে সমস্যার সমাধান করা উচিত ছিল। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত