চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করে মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে লামা থানা ও লামা ট্রাফিক পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লামা সার্কেল ট্রাফিক অফিস কম্পাউন্ডে প্রকৃত মোটর সাইকেল মালিক মোঃ সরওয়ার (২৫) এর হাতে গাড়ি বুঝিয়ে দেন লামা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈকত দাশ, ট্রাফিক সার্জেন্ট শেখ রাসেল ও সদস্য রথীন্দ্রনাথ দাস।
লামা ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, গত কিছুদিন ধরে লামা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল চুরির খবর পায় লামা থানা পুলিশ। তারপর থেকে লামা থানা ও ট্রাফিক বিভাগ টহল কার্যক্রম জোরদার করি। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ঘনকুয়াশায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি লামা পৌরসভার লাইনঝিরি মোড় দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিগনাল দেয়া হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রথীন্দ্রনাথ দাস। পুলিশ সিগনাল দেয়ায় গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যায় চোরটি। উদ্ধার মোটর সাইকেলটির ইঞ্জিন সুইস ডাইরেক্ট ও লক ভাঙ্গা দেখে চোরাই মোটর সাইকেল বলে ধারণা করা হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে গাড়ির মালিক মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসে। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ও মালিক মামলা করতে না চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে তাকে গাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
গাড়ির মালিক মোঃ সরওয়ার বলেন, রাত তিনটার পরে আমার ঘর থেকে তালা ভেঙ্গে চোর আমার মোটর সাইকেল নিয়ে আসে। লামা থানা ও ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় আমি আমার গাড়িটি ফিরে পাই। আমি মোটর সাইকেল ভাড়া চালিয়ে সংসার চালাই। আমার জীবিকার মাধ্যমটি ফিরিয়ে দেয়ার আমি পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ। মোঃ সরওয়ার লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈক্ষমঝিরি (বৈল্যারচর) এলাকার আবু তাহের এর ছেলে।
লামা সার্কেল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর সৈকত দাশ বলেন, বান্দরবান পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম ও লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী এর নির্দেশনায় আমাদের চোরাই গাড়ি উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়। গাড়ির মালিক মামলা না করায় গাড়িটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে পাশাপাশি চোর সিন্ডিকেট আটকে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত