সম্প্রতি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পারা সোনালী মারমা নামে পিতৃহীন ঐ শিক্ষার্থীর পরিবারের দরিদ্রতা ও মানবেতর জীবন-যাপনের চিত্র সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসার পর সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সোনালী মারমার ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তহিদ-উজ-জামানকে নিয়ে পরিদর্শন করেন ইউএনও রক্তিম চৌধুরী। এসময় সোনালী মারমার মা-বোনসহ তিন সদস্যের পরিবারের হাতে নগদ অর্থ ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত ম্রাসাউ মারমা বলেন, “আমি দুই কন্যা সন্তান নিয়ে দুঃখে কষ্টে দিনপাত করছিলাম। ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রসহ মেয়েদের কাগজপত্র না থাকায় ও অভাব অনটনের কারনে মেয়েদের স্কুলে পড়াতে পারছিলাম না। ইউএনও স্যার এসে আমাকে খাদ্য সামগ্রী ও টাকা দিয়েছেন। মেয়েকে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন, ঘরও করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েদের নিয়ে সামনের দিনগুলো শান্তিতে কাটাতে পারবো”।
এসময় ইউএনও বলেন, “পরিবারটি প্রকৃত অসহায় ও ভূমিহীন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। পাশাপাশি খুব দ্রুত এই পরিবারের সদস্যদের জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র করে দেওয়াসহ সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প হতে একটি ঘর প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সোনালী মারমাকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে”।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত