মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া ইউনিয়নে বগিয়া গ্রামে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বেশ কয়েকটি মেহেগুনি গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে কিছু দুঃস্কৃতিকারীরা। ভুক্তভোগী বগিয়া গ্রামের সৈয়দ তফিকুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারী ভোর অনুমান ৬ টার সময় বগিয়া গ্রামের মৃত কফিল শেখ এর পুত্র হারুন শেখ (৬৫), হারুন শেখ এর ছেলে কালু শেখ (৩৫), গভীর রাতে তফিকুলের জমিতে থাকা বিশাল বড় মেহেগনি গাছ কেটে নেয়। গাছ কাটার সময় বাধা দিলে দুষ্কৃতকারীরা তফিকুল ইসলামকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। সেখান থেকে তফিকুল ইসলাম কৌশলে সরে এসে ৯৯৯ কল করে পুলিশির সহায়তা নেন। পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে ভূমিদস্যু হারুন শেখ সহ সকলকে কাটাগাছসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলে। কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনুরোধে ও থানায় মীমাংসা করার শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মাগুরা থানাতে এ বিষয় নিয়ে কোনো মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে আরো আস্কারা পেয়ে পরেরদিন রাতে দুষ্কৃতকারীরা অন্য গাছগুলোও কেটে নিয়ে যায়, এমন সময় তফিকুলের পরিবার থেকে ৯৯৯ নং এ কল দিলে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলেছে কয়েকটি বড় বড় গাছ কাটার চিহ্ন। বিরোধীয় সম্পত্তি ১৫৯/০৭ দেওয়ানী পিএ বিচারাধীন আছে যার তফশিল এস এ খতিয়ান ৬৫৮ দাগ ১৮৬৭ জমির পরিমাণ ৬৭ শতক, আর এস খতিয়ান ২৯৮৮ জমির পরিমাণ ১ একর ৫৬ অংশে ৬৭ শতক। ঘটনার এবিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে খায়ের শেখ, কালু শেখ, পিকুল শেখ, পারুল শেখ ও হারুন শেখ বলেন এই জমি আমরা ৪ ভাই মিলে ১৯৯০ সালে জমি ক্রয় করে ছিলাম। আমাদের জমির মেহগনি গাছ আমরা কেটেছি অন্যায় তো কিছু করি নাই। জমি সম্পর্কে সৈয়দ তফিকুল ইসলাম বলেন ১৯৬৫ সালে আমার বাপ-দাদার নামে এই জমি কিভাবে তারা জোর করে গাছ কাটলো এটা সম্পূর্ণ ভাবে আইনগত অপরাধ। এবিষয়ে মাগুরা থানা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার এসআই আরিফ জানান " কোনো পক্ষের তরফ থেকে উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি বিধায় আমরা কাউকে গ্রেফতার করিনি"।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
বার্তা সম্পাদক : এম. লোকমান।
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত