লামায় ‘বান্দরবান জেলা জজ আদালতের’ আদেশ অমান্য করে বিরোধীয় জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ২০/৩০ জন শ্রমিক এনে ঘরের ছাল তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অপর মামলা ৬০/২০২২ এর বাদী মোহাম্মদ ইসলাম। লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাসনাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাসনাপাড়া এলাকায় একখন্ড জমি নিয়ে মোহাম্মদ ইসলাম ও জাগির হোসেন গং এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে আইনী ফায়সালার জন্য মোহাম্মদ ইসলাম বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অপর মোকাদ্দমা নং ৬০/২০২২ রুজু করেন। আদালত মামলায় বাদীর পক্ষে রায় দেয় এবং বিবাদী জাগির হোসেন রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপীল-০৯/২০২২ দায়ের করেন। এদিকে মামলা চলমান থাকায় বিরোধীয় ভূমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ মঞ্জুর করেন। বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আদেশ অমান্য করে মামলার বিবাদী জাগির হোসেন গং স্থানীয় কয়েকজন ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ২০/৩০ জন শ্রমিক নিয়ে জোরপূর্বক ঘরের ছাল নির্মাণ করেন।
মামলার বাদী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা বাঁধা দিলে হাতাহাতি ও মারামারি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই আমরা বাঁধা না দিয়ে আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করি। আশা করি বিজ্ঞ আদালত সঠিক ফায়সালা প্রদান করবেন।
এই বিষয়ে মামলার বিবাদী জাগির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি জানান, আমি আমার জায়গায় কাজ করেছি। ঘরের ছালে টিন লাগিয়েছি। কার কি সমস্যা ?
সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের কেউ অবহিত করেনি। আমাদের কাছে আসলে আমরা আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নিব।
এম/এস