জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, লামার সরই রেংয়েন ম্রো পাড়ায় আগুন দেয়ার ঘটনায় আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সমবেদনা জানাই। আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি মানুষ নিরাপদে তাদের বাড়িতে থাকার অধিকার রাখে। রেংয়েন ম্রো পাড়ার লোকজন নিজেদের অসহায় মনে করবেন না। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আপনাদের পাশে আছে। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। অন্যায়ভাবে কেউ কাউকে মারতে পারেনা, উচ্ছেদ ও লুটপাট করতে পারেনা। যদি এইটা আপনার জায়গা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার এই জায়গায় থাকবেন কেউ তুলে দিতে পারবেনা। যদিও এই বিষয়ে গভীর তদন্ত হওয়ার দরকার আছে।
গতবছর ২৬ এপ্রিল যখন লাংকুম ম্রো পাড়া বাগানে আগুন লাগে, তখনই মিডিয়ার মাধ্যমে এই ঘটনা জানতে পারি। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তদন্ত শুরু করি। তারপর গত ১ ও ২ তারিখ রেংয়েন ম্রো পাড়ায় বসতবাড়ির আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সে জন্যও আমরা দুঃখিত। পাড়াবাসীকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছি। যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে ও অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা বিশ্বাস করি তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। প্রকৃত জায়গার মালিককে জায়গা পেতে আমরা সহায়তা করব।
আপনারা (রেংয়েন পাড়াবাসী) আমাদের ও প্রশাসনকে কোন কিছু ঘটলে জানাবেন। আমার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আপনাদের পাশে আছি। এছাড়া এই ঘটনায় প্রশাসন কি করছে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ঢেঁকিছড়া আমবাগান এলাকার রেংয়েন ম্রো পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিদর্শনকালে এইসব কথা বলেন তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
এই সফরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মোঃ সেলিম রেজা (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির মর্যাদায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত), কমিশনের সম্মানিত সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. তানিয়া হক ও কাওসার আহমেদ, সচিব (যুগ্ম সচিব) নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপপরিচালক মো. আজহার হোসেন, উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেহ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানি, রেংয়েন পাড়া কারবারী রেংয়েন ম্রো, লাংকুম পাড়া কারবারী লাংকুম ম্রো উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সফর সঙ্গীরা পাড়াবাসী দুঃখ, সুখের কথা শুনেন এবং তাদের শান্তনা দেয়।
এম/এস