আর কয়েক ঘণ্টা পরে শুরু হবে বিশ্বকাপ মহারন। এরই মধ্যে গোটা বিশ্ব দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। একদল আর্জেন্টিনা অন্যদল ফ্রান্স। ফ্রান্স মনে করছে এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, আর্জেন্টিনা মনে করছে ফুটবলের নতুন জাদুকর মেসি স্পর্শ করুক বিশ্বকাপ। এই নিয়ে গোটা বিশ্বে আজ আলোচনা চলছে। সবাই তাকিয়ে আছে কাতারের দিকে। যারা আর্জেন্টিনার সমর্থক তারা চাইছেন বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়া ম্যাজিকপুত্র মেসির হাতেই কাপটা উঠুক। আবার একইভাবে উল্টোটাও বলছেন ফ্রান্সের সমর্থকরা। ফ্রান্স এবারও আশাবাদী ট্রফিটা তাদের ঘরেই যাবে। মাঠের মধ্যে মেসি এবং এমবাপ্পে অসাধারণভাবে খেলে চলেছেন। সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে দু’জনের পায়ের খেলা দেখবার। গতকাল ১৭ ডিসেম্বর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মরক্কোকে হারিয়ে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় স্থান দখল করেছে। আজ মধ্যরাতেই (১৮ ডিসেম্বর) কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের যবনিকা। এরই মধ্যে পাওয়া যাবে কে প্রথম কে দ্বিতীয়।
মেসি ও এমবাপ্পে দু’জনেই এবারের বিশ্বকাপে পাঁচটি করে গোল করেছেন। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়েও দু’জনেই যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন। খেলার শুরু থেকে লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন দারুণ ছন্দে। নিজ নিজ দলকে ফাইনালে তোলায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কেউ কাঊকে ছাড় দিতে রাজি নন। মাঠে গেলে দু’জনেরই ধরন পাল্টে যায়। এক অসাধারণ কারিশমা তাদের দু’জনের মধ্যেই। আজ শেষ খেলায় সারাবিশ্ব দেখবে দু’জনের ক্রীড়া নৈপুণ্য।
অনেকেই বিশ্বকাপের ফাইনালকে দেখছেন মেসি ও এমবাপ্পের দ্বৈরথ হিসেবে। তবে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি তা মানতে নারাজ।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেছেন বিশ্বকাপ ফাইনাল ব্যক্তির চেয়ে দলগত লড়াইটাই বেশি। ‘রোববারের (আজ) ম্যাচটা আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের লড়াই, মেসি-এমবাপ্পের নয়। দল শুধু তাদের ওপর নির্ভরশীল নয়। দুই দলেই পর্যাপ্ত রসদ আছে, যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’
মেসির চেয়েও ফ্রান্সকে বেশি ভাবাচ্ছে খেলোয়াড়দের অসুস্থতা।
গত বিশ্বকাপে এমবাপ্পের কারিশমায় ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা তখন এমবাপ্পের বয়স ছিল ১৯। সেবারে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় এমবাপ্পের ফ্রান্স। চার বছর পর এমবাপ্পে এখন বয়সে, খেলায় এবং ক্রীড়া কৌশলে পূর্ণপরিণত হয়েছে। গেল চার বছরে এমবাপ্পে নিজেকে অন্যভাবে সাজিয়ে নিয়েছেন। নিজের রেকর্ড নিজেই ওলট-পালট করছেন। তাই ফ্রান্সের কোচ এই এমবাপ্পের দলকে নিয়ে নতুনভাবে খেলায় জেতাবার পরিকল্পনা করবেন এটাই স্বাভাবিক।
এমবাপ্পেকে থামানোর কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি এমবাপ্পের প্রশংসা করলেও পরিকল্পনা খোলাসা করেননি। ‘এমবাপ্পেকে থামানোর জন্য সম্মিলিত চেষ্টার প্রয়োজন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। যদিও ফ্রান্স শুধু তার ওপর নির্ভরশীল নয়। এমবাপ্পে একজন দারুণ ফুটবলার, তাকে বল দেয়ার মতো কিছু দুর্দান্ত ফুটবলারও আছে ফ্রান্স দলে। এমবাপ্পে এখনো তরুণ, নিঃসন্দেহে সে উন্নতি করতে থাকবে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে যে সকল রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি
আজ রাত ৯টায় সারাবিশ্ব আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের লড়াই দেখবে। কে জিতবে কে হারবে সেটা সেই সময়েই নির্ধারণ হবে। কার হাতে উঠবে সোনার কাপ সেটাই দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।
এম/এস