শাপলার রঙ্গে রঙ্গিন কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কামিতারপাড়া পুকুর। ষড় ঋতুর এই দেশে বাংলার প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে। সবুজ পত্রপল্লবে ছেয়ে যায় বৃক্ষরাজি। পুকুর জলাশয়ে থাকা জলজ উদ্ভিদগুলো প্রাণ ফিরে পায়। শীতের আগমন না ঘটলেও আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সেজেছে পদ্ম ও লাল শাপলার। ভোরের আলো ফুটতেই বিলের পানিতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায় পদ্ম ও শাপলা। সেই সাথে নানা প্রজাতির পাখীর কিচির মিচির কোলাহলে ঘুম ভাঙ্গে বিলের আশপাশের মানুষদের। শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। আর এই শাপলা গ্রাম গঞ্জের রূপ প্রকৃতির অলংকার ও বটে। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া লাল শাপলা পদ্মফুল সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। দেখলে মনে হয় এ যেন লাল শাপলার রাজ্য।
বলছি মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কামিতারপাড়া এলাকার প্রধান সড়ক পথ থেকে উত্তরে পুকুরের দূরত্ব আনুমানিক ১০/১৫ মিনিট পায়ে হেঁটে গেছে পুকুরে শাপলা আর শাপলা, সকালে সূর্য্য প্রখর হওয়ার পর আস্তে আস্তে বুজে যায় শাপলা, ফোঁটে রাতের বেলা। সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে সাতসকালে সাংবাদিক দম্পতি ছুটে যান আঁধার কাটিয়ে। সৌন্দর্য পিপাসু জাতীয় দৈনিক দেশবাংলা প্রতিনিধি নুরুল করিম ও দৈনিক রূপালী সৈকতের স্টাফ রিপোর্টার বদরুন্নেসা সুখি (হ্যাপী করিম) শাপলার পুকুর অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুরে সরজমিনে দেখা যায় পুকুর জুড়ে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা।
বর্ষার শুরুতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় অসংখ্য শাপলা। আগাছায়ও ভরে গেছে। শ্রাবণের শেষের দিকে শাপলায় ফুল ফুটতে শুরু করে। কার্তিক মাসের শেষে দিকে পুকুরে পানি থাকতে থাকতেই শাপলাসহ যাবতীয় আগাছা পরিস্কার করেন স্থানীয়রা। অগ্রাহায়নে শুকিয়ে যায় পুকুর।
স্থানীয় শফিউল আলম জানান, পুরো বিল যেন লাল শাপলা এবং গোলাপী আর সাদা রংয়ের পদ্ধফুলে ভরে উঠে। এযেন বিধাতার এক অপরূপ সৃষ্টি, যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়। আগত স্থানীয় ও পথচারীগণ যে যার মত করে লাল শাপলা ও পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন আর মোবাইল ক্যামেরায় ফ্রেমে বন্দি করে প্রচার করছেন এ বিলের অপরূপ দৃশ্য।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত