খাগড়াছড়ির গুইমারা থানা চত্বরে সবজি চাষ করে ভেজালমুক্ত শাকসবজির চাহিদা মেটাচ্ছেন পুলিশ।গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ ১৭ জুলাই ২০২২ তারিখে যোগদানের ১৫ দিন পর থেকেই গুইমারা থানার আঙ্গিনায় প্রায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে ওসি নিজেই পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন এই নয়নাভিরাম সবজি বাগান।
থানা প্রাঙ্গনে নান্দনিক পরিবেশের সবজি বাগানটিতে দেখা গেছে, লাউ, বেগুন, শিম, শশা, জিঙ্গে, ঢ্যাঁড়শ, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা,পেঁপে, সাজনা, বিভিন্ন ধরনের শাক, আদা,লেবু, মরিচ পুদিনাসহ কমলা, মাল্টা, আম,কলা ও বিভিন্ন জাতের ফলজ-বনজ গাছ এবং ফুলের সমারোহ।
গুইমারা থানার এএসআই সাদ্দাম হোসেন বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে ওসি স্যারসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা সবজি বাগানের পরিচর্যা করেন। প্রায় ৫ একর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল রয়েছে। বিষমুক্ত এবং সতেজ এসব শাক-সবজি,ফলমূল দিয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা চাহিদা মেটাচ্ছেন।”
পুলিশ কনস্টেবল মো. আতিকুর রহমান বলেন, ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়ে মবজি বাগান ও ফলজ বাগানে যে শ্রম দিয়ে থাকি তা বাড়তি পরিশ্রম হলেও আমরা সকলে উৎসাহ নিয়েই কাজ করি।
গুইমারা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহেদা আক্তার বলেন, সবজি বাগানের সামনে দাড়ালে মনে হয় নিজের বাড়িতেই আছি। নিজেদের হাতেই ক্ষেত থেকে লাউ, শাক, কুমড়া তুলে খাওয়ার যে স্বাদ সেটা আমরা সবাই উপভোগ করি।
থানা প্রাঙণে কেন সবজি চাষ জানতে চাইলে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশিদ বলেন, এ বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি এ থানায় যোগদানের এক মাস না যেতেই থানার অাঙিনায় ফাঁকা জায়গায় সবজি উৎপাদনের চিন্তা মাথায় আসে। সে চিন্তা থেকেই সবজি চাষ শুরু করেছি। এবং সাফল্যও পেয়েছি। নিজের হাতে সুজন করা সবজি দিয়ে এ থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ৫০ শতাংশ চাহিদা পুরন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের কাছে “পুলিশের এই উদ্যোগ একটি দৃষ্টান্ত।
এম/এস