লামায় স্কুল শিক্ষক পরিবারের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জায়গা জোরপূর্বক দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে ওই স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী সোলতানা নাজমা আইনী সহায়তা কামনা করে প্রতিপক্ষ মোঃ আলমগীর সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতে লামা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জায়গা জোরপূর্বক দখলের বিষয়ে লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার মোঃ নাজেম উদ্দিন মাস্টারের স্ত্রী সোলতানা নাজমা বৃহস্পতিবার রাতে একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার ২৯৩নং ছাগলখাইয়া মৌজায় হোল্ডিং নং- আর/৮৭ এর আন্দরে ২টি চৌহুর্দি মূলে সোলতানা নাজমার মা ফয়েজুন্নেছা এর নামে ৪ একর জায়গা তৌজিভূক্ত আছে। ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে সোলতানা নাজমা নিজস্ব চাষা দিয়ে সন সন খাজনা পরিশোধ করে দীর্ঘ বছর যাবৎ জায়গাটি ভোগদখলে আছেন। উক্ত জায়গায় তাদের নির্মিত একটি খামার ঘরও আছে। হোল্ডিং নং- আর/৮৭ এর আন্দরে ২য় চৌহুর্দির জমির পাশে ১নং বিবাদী মোঃ আলমগীর এর দখলীয় কিছু খাস জায়গা আছে। ১নং বিবাদী অন্যান্য বিবাদীগণের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের উক্ত জায়গা জোরপূর্বক জবরদখল করার পায়তারা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৭ অক্টোবর ২০২২ইং বেলা ১১টায় বিবাদী আলমগীর গং সকলে হাতে দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠিসোঠা, লোহার রড, খন্তা ইত্যাদি দিয়ে আমাদের ভোগদখলীয় জায়গায় অনাধিকার প্রবেশ করে আমাদের নির্মিত খামার ঘরটি ভেঙ্গে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরবর্তীতে বিবাদীগণ সকলে হাতে দা নিয়ে আমার সৃজিত সেগুন, গামারি, গর্জন, কলা বাগানের গাছগাছালি কেটে এবং এলোপাতাড়ি ভেঙ্গে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। বিবাদীগণ আমার ভোগদখলীয় জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর এবং আরেকটি টিনসেড ঘর নির্মাণের খবর শুনে আমরা বাঁধা প্রদান করিলে বিবাদীগণ সকলে আমার কেয়ারটেকার সহ আমাদের বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসলে আমরা কোন রকম পালিয়ে এসে আত্মরক্ষা করি।
বিবাদীগণ আমাকে আমার মালিকানাধীন জায়গা থেকে চলে আসতে হুমকি প্রদান করে। অন্যথায় বিবাদীগণ সকলে আমাকে উক্ত জায়গায় জ্যান্ত পুঁতে ফেলারও হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিষয়ে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করলে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আমাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় মোঃ আব্দুর শুক্কুর, তার স্ত্রী শাহেনা বেগম, মোঃ আলী, দোকানদার মোঃ সিরাজ ও কেয়ারটেকার আবুল কালাম বলেন, যে জায়গা আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১০/১২ জন লোকজন দিয়ে মোঃ আলমগীর দখল করেছে এবং সোলতানা নাজমার টিনের খামার ঘরটি ভেঙ্গে নতুন করে আরেকটি ঘর করেছে এই জায়গা দীর্ঘদিন সোলতানা নাজমা ও স্বামী নাজেম মাস্টারদের দখলে ছিল।
এই বিষয়ে প্রতিপক্ষ লামা পৌরসভার বড় নুনারবিল পাড়ার মৃত মনছুর আলমের ছেলে মোঃ আলমগীর বলেন, আমি জনৈক মোঃ নজরুল ইসলাম ও মিলন রাইটার থেকে ৫ একর জায়গা দখলসত্ত্বে ক্রয় করি। আমি আমার জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছি, কারো জায়গায় যায়নি।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত