বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ক্রমেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। আজ রাতেই সিত্রাংয়ে রূপ নেবে তা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ১৯টি জেলা। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে শিগগির নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যে আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এ জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আগমনী বার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর সমুদ্র বন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত বাড়িয়ে দেয়া হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আপাতত ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত থাকবে।’
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ এখন ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
ঝুঁকিতে থাকা দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলা:-
১. খুলনা ২. সাতক্ষীরা ৩. বাগেরহাট ৪. পটুয়াখালী ৫. বরগুনা ৬. ভোলা ৭. পিরোজপুর ৮. বরিশাল ৯. ঝালকাঠি ১০. নোয়াখালী ১১. লক্ষ্মীপুর ১২. ফেনী ১৩. চাঁদপুর ১৪. চট্টগ্রাম ১৫. কক্সবাজার ১৬. ফরিদপুর ১৭. মাদারীপুর ১৮. গোপালগঞ্জ ১৯. শরীয়তপুর।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত