খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মাষ্টারপাড়ার কমপাড়া নামক স্থানে রাতের আঁধারে প্রতিহিংসা মূলক একটি ফলন্ত ড্রাগন ফল ও পেয়ারা বাগানের প্রায় এক শতাধীক গাছ কেটে ফেলেছে এলাকার কিছু বখাটে উশৃঙ্খল দুর্বৃত্তরা,১৫ অক্টোবর (শনিবার) রাতে নাহিদ এগ্রো ফ্রুট, ড্রাগন ফলজ বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নাহিদ এগ্রো ফ্রুটের মালিক মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান গত ১৫ অক্টোবর রাতের অন্ধকারে আমার ড্রাগন বাগানের গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা , এমন কাজ রাতে ছাড়া দিনে সম্ভব নয়, আমি সারাদিন বাগানেই থাকি, দিনে হলে দেখতে পেতাম,এই জগন্ন কাজটি মনে হচ্ছে রাতের গভীরে করেছে ,আমার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। আমার সাথে শূত্রুতা থাকতে পারে অনেকেরই ,তবে বাগানের সাথে কিসের শূত্রুতামি,যারা এ নোংরা কাজটি করলো বাগানটি তাদের কি ক্ষতি করেছে, আমি ২০১৬ সাল থেকে হর্টিকালচার সেন্টারে সহযোগিতায় কঠোর পরিশ্রম করে তিলে তিলে এই বাগান দাঁড় করিয়েছি, আমার বাগানের প্রায় ২শত ড্রাগন ফল গাছ কেটে ফেলেছে,এতে আমার ২লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি আবার ২ /৩ বছরের জন্যে পিছিয়ে গেলাম, অনেক কষ্টের বাগান আমার এক নিমেষেই শেষ করে দিলো উশৃঙ্খল দুষ্কৃতিকারীরা ।এই বিষয়ে আমি রামগড় থানায় অজ্ঞাত একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রামগড় থানার উপপরিদর্শক জাকারিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন বাগানটি। আমি চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেনো সুষ্ঠু একটি বিচার পাই এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হয়।
তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ জানান,আমি রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল বেলায় যখন ড্রাগন ফল গাছ থেকে ছিঁড়তে যাই বিক্রির জন্যে, তখন দেখি আমাদের ড্রাগন বাগানের ড্রাগন গাছের গোড়া কাটা, প্রথমত মনে করেছি ১টা বা ২টা হবে ,পরে দেখি বাগানের প্রায় একশর অধিক গাছের গোড়া কাঁটা ,নাহিদ বলেন এটা প্রতিহিংসা ও হিংসাত্মক নোংরা কাজ ছাড়া আর কিছু নয়, কারা এই কাজ করতে পারে বা কাদের সন্দেহ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে নাহিদ এবং তার বাবা আবুল কাশেম নিরব ছিলেন,তাদের নিরবতার মাঝে লক্ষ্য করা গেছে,যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন তিনি, আবুল কাশেম জানান আমি যাদের সন্দেহ করছি তাদের নাম যদি বলা হয় তাহলে আমাকে জানেই মেরে পেলবে, তারা অনেক উশৃঙ্খল, তবু ও আমি যা বলার পুলিশকে বলেছি।
রামগড় থানার (ওসি) মো.মিজানুর রহমান জানান ড্রাগন ফল বাগানে গাছ কাঁটার বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় এসেছে, তদন্ত চলমান রয়েছে,তদন্ত শেষে বুঝা যাবে এ অপরাধের সাথে কারা কারা জড়িত রয়েছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত