পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে ৯ সেপ্টেম্বর একটি কালো দিন। ১৯৯৬ সালের এই দিনে তৎকালীন শান্তিবাহীনি রাঙামাটি জেলার লংগদু ও বাঘাইছড়ি সীমানায় অবস্থিত পাকুয়াখালীর গহীন অরণ্যে ৩৫ নিরীহ কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
সেই থেকে পার্বত্য এলাকায় বাঙালিরা শোকাবহ এই দিনটিকে ‘পাকুয়াখালী ট্র্যাজেডি’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
আজ ৯/৯/২০২০ তারিখে পাকুয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ,মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভাইয়া,সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,শেখ আহম্মদ (রাজু) মোঃ আব্দুল হামিদ রানা,মোঃ আলম খান,ছাত্র নেতা,শাহাদাৎ ফরাজি সাকিব,সারোয়ার হোসেন,আব্দুর রহিম,মোস্তফা কামাল,মোঃ মহিউদ্দিন সহ অনান্যা নেতৃবৃন্দ।
এই সময় বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে শান্তিবাহিনী সরকারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে অস্ত্র জমা দিলেও তারা তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বলে বিশ্বাস করা যায় না, কেননা পাহাড়ে অস্ত্রবাজী এবং চাঁদাবাজী রয়ে গেছে আগের মতোই। পাহাড়ে সংগঠিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখে বুঝা যায়, ধীরে ধীরে তারা অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
বিশেষ করে গত বছরের ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচন শেষে সাজেক থেকে ফিরে আসার পথে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ির বহরে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ৮ জন নিহত এবং ১৮ আহত হওয়ার ঘটনা,তার এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর টহল দলের উপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনাগুলোও এর জলন্ত প্রমাণ।
পাকুয়াখালী গণহত্যা কারীদের বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। এবং নিহত পরিবারদের পূর্ণবাসন করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।