এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দীঘিনালার সাধারণ মানুষ। সেন্টিগ্রেড ও আমলাতান্ত্রিক সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ না দিয়েই বিদ্যুৎ বিলের নামে চুষে নেয়া হচ্ছে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে।
আবার দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মাঝে সঠিক পরিমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কোনো কোন জেলা বা উপজেলা সেরা পুরুস্কার জিতে নিচ্ছে। প্রচন্ড গরম ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, বাসার বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন বিদ্যুৎ। সবকিছু মিলিয়ে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যতটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন তাঁর তিনের দু'অংশও পুরোপুরি পাচ্ছে না বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী পরিবারগুলো। এদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিং, তার ওপরে আবার কর্তৃপক্ষের অবৈধ ভাবে ইউনিট দেখিয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, এ দায় কার?
সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ সরকার ঠিকই সিডিউল অনুযায়ী লোডশেডিং রেখেই মানুষের মাঝে সিডিউল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নিদের্শ দিয়েছেন। কিন্তু সেন্টিগ্রেড ও বিদ্যুৎ বিভাগের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিনিয়ত ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ধুঁকছে সাধারণ মানুষ। তাছাড়া লোডশেডিং থাকাকালীন সময়ে সকলের তো আর সৌরবিদ্যুৎ বা জেনেটর ব্যবহার করার অর্থনৈতিক অবস্থা নেই।
দীর্ঘদিন ধরেই উপরোক্ত সমস্যার সাথে পাল্লা লড়ছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলার ৫ ইউনিয়ন মেরুং, বোয়ালখালী, কবাখালী, দীঘিনালা ও বাবুছড়ার বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী পরিবারগুলো। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এবং নির্দিষ্ট অনলাইন বা অফ লাইনে প্রচার-প্রচারনা ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ না করা ও উপজেলার বিভিন্ন লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা যেন নিত্য দিনের পেশাগত দায়িত্ব হয়ে গেছে বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের। এছাড়াও উপজেলা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নেই নির্দিষ্ট কোনো অনলাইন পেইজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিদ্যুৎ বাবহারকারী সাধারণ পরিবারগুলো জানতে চায় এর প্রতিকার কোথায় এবং কি?
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত