বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মিসেস ম্যামাচিং বলেছেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম শুনে আমার বাবা-মায়েরা কাঁদে, শুধু কাঁদেনা ভয়ে মুর্ছা যায়। এইটা আওয়ামী লীগ সরকার তথা নিশিরাতের সরকারের অবদান। এদের কাজই হলো নিশিরাতে কাজ করা। তাদের জনগণের কাছে কোন দায়দায়িত্ব নেই। ভোট দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসেনি। এখন তারা একইভাবে পায়তারা করছে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য। এইজন্য তারা নতুন কৌশল হিসাবে ১৫০ এর অধিক আসনে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করতে চাচ্ছে। এইটা ‘ইভিএম মেশিন না, মিছা কথার বাকস্’। সবাই ভোট দেয় ধানে, কিন্তু চলে যায় নৌকায়। সুতারাং এই মেশিনের ভোট গ্রহণ আর বাংলাদেশে চলবেনা। সারা বিশ্ব যখন ইভিএম মেশিনকে বাতিল করেছে, তখন আমাদের দেশের সরকার এইটা ব্যবহার করতে কাহিনী করে চলেছে। ২০১৮ সালের ভোট এদেশের মানুষকে শিখিয়ে দিয়েছে। মৃত ব্যক্তিরাও ইভিএম মেশিনে ভোট দিয়েছে। পরিক্ষিত সত্য “আওয়ামী লীগ মানে চোর, চোর মানে আওয়ামী লীগ”।
তিনি আরো, আমরা একটা দাওয়াত নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা যারা আজ গণ জমায়েতে এসেছেন। তারা উপজেলায়, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে গিয়ে আমাদের লোকজনকে সাহস দিবেন। বলবেন সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষ এক হয়েছে এই মিথ্যাবাদী ও নিশিরাতের সরকারকে উৎখাত করার জন্য। তারেক রহমানের নির্দেশে কেন্দ্র থেকে যে কর্মসূচী দেয়া হয়েছে, তা সফল ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের মা তথা জনগণের মা বেগম খালেদা জিয়া এত নির্যাতনের পরেও এদেশের মানুষকে ছেড়ে বিদেশ যাননি। এই মুনাফেক সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। এই সরকাকে পতন করার একমাত্র লক্ষ্যকে সামনে রেখে আপনারা নির্ভয়ে কাজ করে যাবেন।
জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল প্রকার দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশ কর্তৃক গুলি করে ছাত্রনেতা নুরে আলম ও আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে লামা উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত গণমিছিল শেষে গণ জমায়েতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দিতে গিয়ে এইসব কথা বলেন, বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসেস ম্যামাচিং। রবিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৪টায় লামা পৌর বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়ে গণমিছিলটি লামা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে নয়াপাস্থা গজালিয়া জীপ স্টেশনে গণ জমায়েতে মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাবেদ রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন, লামা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রব। গণমিছিল ও সমাবেশে তিন সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত হয়েছে বলে জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাবেদ রেজা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং দলের দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলন দেখে ক্ষমতাসীনরা পাগল হয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার দলীয় লাঠিয়াল ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই আন্দোলন অগনতান্ত্রিক সরকার পতনের ডাক দিয়েছে।
সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাবেদ রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি লুসাইমং, লামা বিএনপির একাংশের সভাপতি আব্দুর রব, সাধারন সম্পাদক এম রুহুল আমিন ও যুগ্ন সম্পাদক সাইফুদ্দিন কাউন্সিলর। পুলিশ পাহারার মাঝেও বিএনপির নেতা কর্মীরা রাজপথে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল-সমাবেশ করার সুযোগ পেয়ে তারা উৎসাহ বোধ করেন বলে, তৃণমূলের নেতা কর্মিরা মন্তব্য করেন।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত