বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির গঠন ও লিগ্যাল এইড কমিটি, চৌকি আদালত, লামা সক্রিয়করণ বিষয়ে মতবিনিময় ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বান্দরবান জেলা লিগ্যালএইড কমিটির আয়োজনে, লামা লিগ্যাল এইড কমিটি ও চৌকি আদালতের সহযোগিতায় ২৭ আগস্ট ২০২২ইং শনিবার লামা পৌরসভার সভাকক্ষে এই উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ ফজলে এলাহী ভূইয়া।
অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত আছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক, বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবু হানিফ, বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম সিকদার, লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (লামা সার্কেল) আনোয়ার হোসেন, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, লামা আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাদেকুল মাওলা ইরাক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া সহ প্রমূখ।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) রোকেয়া আক্তার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যার যার প্রথা, রীতি মেনে চলার আহবান জানান এবং লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ ফজলে এলাহী ভূইয়া বলেন, “লিগ্যাল এইড কার্যক্রম সম্পর্কে বেশীরভাগ মানুষেরই তেমন একটা ধারনা নেই। বর্তমান সরকার প্রান্তিক মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দেয়ার জন্য সাংবিধানিক কমিটমেন্ট বাস্তবায়ন করেছেন। এতদ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে, নাগরিকরা ন্যয় সঙ্গত জীবন যাপন করবেন, সে ব্যাপারেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
রাষ্ট্রের যে সব নাগরিক অর্থ এবং সামাজিক পরিপক্কতার অভাবে বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত, সেই সব নাগরিকদের আইনগত সহায়তা বিনা মূল্যে পাবার স্থানই হলো লিগ্যাল এইড কমিটি।
এ সময় উম্মুক্ত আলোচনায় শিক্ষক, সাংবাদিক ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, পৌর কাউন্সিলরগন, লামা কোর্টের আইনজীবী, ব্যবসায়ী, হেডম্যান ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ মতামত দেন।
এম/এস