খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে মামাতো বোনসহ গোমতি নদীতে গোসল করতে নেমে নুসরাত জাহান (১৬) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। গোমতি নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ার দুই ঘন্টা পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৮ আগষ্ট) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ায় এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুসরাত জাহান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বাসিন্দা মো: কাউসার আলমের মেয়ে। সে তার মামা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মো: আবদুল্লাহ‘র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।
স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নুসরাত জাহান মামাতো বোনসহ ৫ জন সহপাঠী বাড়িরে পাশে গোমতি নদীতে গোসল করতে যায়। পাঁচ জন গোসল করতে গেলেও মুহুর্তের মধ্যে নুসরাতসহ দুইজন গোমতি নদীর গভীর জলে ডুবে যায়। এসময় সাথে থাকা সহপাঠীদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় প্রতিবেশীরা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও নুসরাত জাহানকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ঘন্টা চেষ্ঠার পর মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল নুসরাত জাহানকে উদ্ধার করে।
পরে, তাকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পিপাসা বড়–য়া তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ। এসময় তারা নিহতের স্বজনদের স্বান্তনা দেন।
এামার বাড়িতে বেড়াতে আসা কিশোরী নুসরাত জাহানের মৃত্যুর ঘটনাটি মেনে নেয়ার মতো নয়, জানিয়ে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, এঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো. শফিকুল আলম খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭ জনের একটি ডুবুরী দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্ঠার নুসরাত জাহানকে গোমতি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তি ও দু:খজনক। এবিষয়ে স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত