• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ধর্মের ভিত্তিতে কোন ধরনের বিভাজন দেখতে চায়না জামায়াত: রামগড়ে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান কাপ্তাইয়ে রুপসী কাপ্তাইয়ের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নানা আয়োজন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করলেন – ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান খাগড়াছড়ি বাইতুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদ্রাসায়  অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি রামগড়ে জামায়াতে ইসলামের কর্মী ও সুধী সমাবেশ   সাফ জয়ী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা দিলেন সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ খাগড়াছড়ি ক্বওমী মাদরাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ রামগড় উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন ঐতিহ্য ফিরে আসুক বান্দরবানে-থানজামা লুসাই রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাঙ্গালহালিয়া ভিমাছড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী পঞ্চায়েত সংঘের উদ্যোগে গীতা পাঠ

মুখোমুখী সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীকে বাঁচাতে মানববন্ধনে বাধা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৪৮১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা বিকৃতিকারী রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেনকে অপসারণ ও শাস্তি দাবির মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়েছে। গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর রেলগেটে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বাধা দেয়া হয়। এসময় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন নিজেকে ইতিহাসের শিক্ষক ও গবেষক দাবি করে মুজিববর্ষে প্রতিষ্ঠানটির একটি অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ইতিহাসের শিক্ষক ছিলাম এবং অনেক কিছু গবেষণা করেছি। গবেষণা করে জানতে পেরেছি, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ নয়। শহীদ হয়েছেন ৩ লাখ। ৩-এর সাথে একটি শূণ্য বাড়িয়ে বলা হয়।’
ওই অনুষ্ঠানে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ড. মোকবুল হোসেন ও সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। তার এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে ও শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেয় জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ নামে উত্তরবঙ্গের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পরে শিক্ষামন্ত্রণারয়ের তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেও তদন্ত রিপোর্ট ধাপাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেয়ায় গতকাল রবিবার সকালে নগরীর রেলগেটে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয় কয়েকটি সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠন। সেখানে সাংবাদিক মানবাধিকারকর্মীরা ছাড়াও অংশ নেন বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী। এসময় আকস্মাৎ এসে মানববন্ধন করতে নিষেধ করেন আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তখনই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। মানববন্ধনে বক্তব্য দিতে থাকেন অতিথিরা। কিন্ত আরইউজে সভাপতি তার পক্ষের আরো কয়েকজন ঘটনাস্থলে ডাকেন। এরপরই উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অবস্থানে যায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত রেলগেটে সড়ক অবরোধ করে রাখেন আরইউজে সভাপতি গ্রুপের সংবাদকর্মীরা।
এদিকে, রেলগেটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী প্রেসক্লাব। সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলা এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, রেলগেট এলাকায় দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং নবীন সাংবাদিকদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে মুখোমুখি অবস্থানকে ঘিরে সৃষ্ট ঘটনায় মূলধারার সাংবাদিকরা বিব্রত। সভা-সমাবেশ, মিছিল-মানববন্ধন স্বাধীন দেশের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ৩৭ ও ৩৮ অনুচ্ছেদে এ অধিকার দেয়া আছে। গনতান্ত্রিক দেশে সাংবাদিকরা এসব করতে পারেন। কিন্তু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিকসহ কয়েকজনের যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে তা নিন্দনীয়, নাক্কারজনক। আমরা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
হামলার শিকার রফিকুল ইসলাম রফিক সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত মুখ। কি কারণে তার ওপর হামলা চালানো হলো? কি কারণে তিনি মুখোমুখি অবস্থানে গেলেন? কি কারণে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলো, কেন তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন এসব প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। একই সাথে যারা সংগঠনের নেতৃত্ব দিবেন তাদের অবশ্যই সহনশীল আচারণের অধিকারী হতে হবে। নাহলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হয়। পদ ও সংগঠনেরও গরিমা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার যাতে পূণরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে মহাসড়কে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কর্মসূচি পালন কাম্য নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ