নিহত আবুল হাসনাত সোহেল রানা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর। ভিকটিম একই প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ঘটনার পর পুলিশ নিহতের মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরআগে সকালে শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সদর উপজেলা থেকে চেঙ্গী স্কয়ার পর্যন্ত পাহাড়ী বাঙালী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা এ সময় মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি স্থাপনা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশসহ ৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার পর বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙ্গালী সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি আরো অবনতির আশংকায় জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি জেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বেলা ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ঘোষনা বলবৎ থাকবে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, হাসপাতালে আনার আগে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল জানান, ঘটনায় যারাই জড়িত; তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
নিহত সোহেল রানার বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। মামলায় অব্যহতি পাওয়ার পর তিনি আবার চাকরীতে ফেরত আসলে পাহাড়ী শিক্ষার্থীরা এর বিরোধীতে শুরু করে। স্থানীয়রা বলছেন এই শিক্ষককে তার পদ থেকে সরাতে না পেরে অবশেষে তাকে ধর্ষনের অভিযোগ তুলে হত্যা করেছে ইউপিভিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
এদিকে শিক্ষক নিহতের ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।