টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতায় নাকাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সিলেটে হাসপাতাল-সড়ক-ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়ে শহরবাসী। শনিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেটে ১০৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করে আবহাওয়া অফিস। প্রবল বৃষ্টিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কলেজের ক্লাসরুম, মিলনায়তন ও প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে পড়ে পানি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও নিচতলায় পানি জমেছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী ও স্বজনদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
এক রোগীর স্বজন তানভীর আহমদ জানান, টানা বৃষ্টির ফলে হাসপাতাল চত্বর ও নিচতলায় পানি জমেছে। এতে করে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ঠিক ভাবে ডাক্তার ও চিকিৎসা পেতেও অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, দুই দিনের প্রবল বৃষ্টিতে হাসপাতালের নিচতলায় পানি জমেছে। এতে করে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা দিতে। তবে, আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
নগরের উপশহরের বাসিন্দা মামুন জানান, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায়ও যেসব এলাকায় পানি ওঠেনি, এবারের বৃষ্টিতে এমন উঁচু এলাকায়ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের এলাকাটি এ রকমই একটি। এখানে অনেক বাসাবাড়িতে পানি ওঠার পাশাপাশি রাস্তাও ডুবেছে।
এদিকে টানা এই বৃষ্টিতে সিলেট ছাড়া ও দেশের অন্যান্য জেলায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুই দিনের প্রবল বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিসারি তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে প্রায় সাড়ে ১৮০০ টন মাছ। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষীদের।
এ ছাড়া তিন দিনের বৃষ্টিতে নেত্রকোণায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে ১১ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির আমন ফসল। তবে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নামার আশা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এ ছাড়াও হবিগঞ্জ ও বরিশালে টানা বৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ।