মানবতার সেবা আর মানুষ নিয়ে চিন্তা করা এখনকার সমাজে খুব কম মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। মানুষ ছুটে স্বার্থ আর লাভের আশায়। মানুষের উপকার করা, মানুষকে ভালোবাসা, সহযোগিতা করার মনোভাব খুব একটা চোখে পড়ে না।
সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে এখনও নীরবে নিভৃতে কিছু মানুষ কাজ করে থাকেন। আত্মপ্রচার নয়, আত্মতৃপ্তিই যাদের মূল উদ্দেশ্য। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া এমন একটি ব্যক্তির নাম ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবীর বিপুল ফারাজী।ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবীর বিপুল ফারাজী সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বৃত্তমান ব্যক্তি হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের পরিসূতি এ চিরন্তন বাক্য তার জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠী অর্জন করেছে।
তিনি একটি ইটভাটা স্থাপন করেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা
পরিচালনা করে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য লাভ করেন,
ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবীর বিপুল ফারাজী
অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে নিজেকে সর্বদা বিলিয়ে দিচ্ছে।
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- সেই সেবার ব্রত নিয়ে তিনি মানুষের কল্যাণে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ‘সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদব সবার দুঃখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিব অনাহারীর মুখে’ পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের সবার সুখে কবিতার সার্থকতা সমাজের বৃত্তবান অধিকাংশ ব্যক্তিরা অনেকটায় উদাসীন। তবে এ ধনাঢ্য ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবীর বিপুল ফারাজীর মধ্যে কবির কবিতার সুর মিলিয়ে বাস্তবে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি, মানুষ পেতে পারে না…ও বন্ধু’ ভূপেন হাজারিকার এই জীবন্ত গান তার জীবনে বাস্তবে ফুটে উঠেছে।যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন খেলাধুলা সামগ্রী, গরিব শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ, নানা ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় কর্মকান্ডে আর্থিক সহায়তা, অসহায় মানুষের সার্বিক সহযোগিতা সর্বদা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
যশোর ৮৮/৪ নির্বাচনী এলাকা বাঘারপাড়া, অভয়নগর বসুন্দিয়ার সাধারণ জনগণেরা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবীর বিপুল ফারাজী এ যুগের মানবতার ফেরিওয়ালা। গ্রামের সকল সুখে-দুঃখে তাকে কাছে পাওয়া যায়। আমরা তার মানবিক কর্মকাণ্ড দেখে মুগ্ধ হই। বর্তমান সময়ে যেখানে সবকিছুতেই লোক দেখানো মানবসেবার একটা রীতি চলছে; সেখানে একজন মানুষ নিজেকে আড়ালে রেখে মহৎ কাজ করে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবীর বিপুল ফারাজী বলেন, সমাজের অসহায় মানুষদের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ভালো কাজে সহযোগিতা করা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি আরও বলেন, যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন জনগণের সেবক হিসেবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি; সবার কাছে এই দোয়া কামনা করি।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস