• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ধর্মের ভিত্তিতে কোন ধরনের বিভাজন দেখতে চায়না জামায়াত: রামগড়ে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান কাপ্তাইয়ে রুপসী কাপ্তাইয়ের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নানা আয়োজন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করলেন – ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান খাগড়াছড়ি বাইতুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদ্রাসায়  অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি রামগড়ে জামায়াতে ইসলামের কর্মী ও সুধী সমাবেশ   সাফ জয়ী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা দিলেন সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ খাগড়াছড়ি ক্বওমী মাদরাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ রামগড় উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন ঐতিহ্য ফিরে আসুক বান্দরবানে-থানজামা লুসাই রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাঙ্গালহালিয়া ভিমাছড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী পঞ্চায়েত সংঘের উদ্যোগে গীতা পাঠ

মোংলায় জেন্ডার বান্ধব ও জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ক আলোচনা সভা

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট): / ২০২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩

মোংলায় জেন্ডার বান্ধব ও জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ঈশরৎ জাহান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহান আহম্মেদ, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেট প্রনয়ণের প্রয়োজনীয়তা হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় এবং নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তহবিল গঠন, স্থানীয় চাহিদা বিবেচনায় বাজেট প্রণয়ন ও জনগণকে সম্পৃক্ত করে বাজেট বাস্তবায়ন। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-৫০) এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ৮ম অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব নিরসনে স্থানীয় পর্যায়ে অবদান রাখা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’র (SDG) ১১ নং লক্ষ্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরপাদ, অভিঘাতসহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলা বাস্তবায়নে ও ১৩ নং লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ অর্জনে পদক্ষেপ গ্রহণ। স্থানীয় জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষা ও জলবায়ু প্রবর্তিত স্থানান্তর প্রতিরোধে নিজস্ব অর্থ ব্যবহার। স্থানীয় বাজেট বরাদ্দের মডেলকে কাজে লাগিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন খাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তহবিল সহায়তা প্রাপ্তিতে উদ্বুদ্ধ করা।

জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেটের খাত সমূহ হলো, বাঁধে, রাস্তার দু’পাশে বৃক্ষ রোপন, জলবায়ু সহনশীল বীজ বিতরণ, সচেতনতা তৈরীতে প্রচার প্রচারণা, ভেড়ী বাঁধ নির্মান, জীবন মুখী প্রশিক্ষণ, যেমন: কম্পিউটার, পিএসএফ সংস্কার ও পানির ট্যাঙ্ক স্থাপন, উঁচু গৃহনির্মান ও মেরামত

জেন্ডারবান্ধব বাজেট প্রনয়ণের প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে, এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’র (SDG) ৫ নং লক্ষ্য জেন্ডার সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন অর্জনে ভূমিকা রাখা। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ এর কার্যকরী বাস্তবায়ন। আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার (বেইজিং ঘোষণা ও কর্ম পরিকল্পনা ১৯৯৫ এবং সিডো-নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ) বাস্তবায়নে অবদান রাখা ও জাতীয় সরকারকে সহায়তা করা।

জেন্ডারবান্ধব বাজেটের খাত সমূহ হলো, ইউনিয়ন পরিষদে আগত নারী সেবা গ্রহীতাদের জন্য মাতৃদুদ্ধ কর্ণার স্থাপন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রচারণামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনায় বাজেট বরাদ্দ রাখা, নিরাপদ প্রসব নিশ্চিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডেলিভারী সেন্টার স্থাপন, বাজারে নারীদের ব্যবসা পরিচালনার সুবিধার্থে ৩০% সাকান/স্থান করাদ্দ পৃথক টয়লেট স্থাপন, ভুলগুলোতে ওয়াশরক স্থাপন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে বা সাইক্লোন সেন্টারে উঠা-নামার জন্য র‍্যাম্প/ ঢালু শিড়ী তৈরী, যুবদের আইজিএ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান, ঝরে পড়া রোধে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাইকেল বিতরণ, পিএসএফ স্থাপন ও নারীদের পানি সংগ্রহের অগ্রাধিকার বিবেচনার সময়সূচী নির্ধারণ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জেন্ডার বাজেট প্রস্তাবিত হয় ২০০৯-১০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে। প্রাথমিক পর্যায়ে চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য জেন্ডার বাজেট বরাদ্দ রাখা হলেও বর্তমানে সব মন্ত্রণালয়ের জন্যই আলাদাভাবে এ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। তবে এ বরাদ্দের সবচেয়ে বেশি অংশ ব্যয় করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রথম অর্থবছরে এ বরাদ্দের পরিমাণ মোট বাজেটের ২৪.৬৫ শতাংশ রাখা হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে এর আকার পাঁচ গুণ বেড়ে হয় ৩০.৮২ শতাংশ। বরাদ্দ বাড়লেও এর যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর এ বাজেটের আকার বড় হলেও করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে আলাদাভাবে জেন্ডার বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়নি, যদিও স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নারীদের বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ