মোংলায় এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জুয়াড়ি হাবি মোড়লের বিরুদ্ধে। উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। গত রবিবার (৯ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগীর খালার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাবা-মা হারা অনাথ একটি মেয়ে, পৃথিবীতে যার আপন বলতে কেই নাই। ছোট বেলায় বাবা মায়ের মৃত্যুর পর থেকে দুঃসম্পর্কের আত্মীয় স্বজনদের আশ্রয়ে ছিলো ভুক্তভোগী কপিলা (ছদ্মনাম)।
স্থানিয় হাবি মোড়ল অত্যন্ত উশৃংখল, দুশ্চরিত্র, লম্পট, নারীলোভী, মহিলাদের দালাল ও দুর্দান্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। সে দীর্ঘদিন যাবৎ মেয়েদের সাথে খারাপ আচারন করা সহ জোর পূর্বক অবৈধ কাজ করায়। হাবি মোড়ল কপিলাকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
হাবি মোড়লের কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই হাবি মোড়ল কপিলার স্বামী, শশুর-শাশুড়ী ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে কপিলার নামে আজে বাজে মন্তব্য করা সহ ক্ষতি সাধনের সুযোগ সন্ধানে আছে। এছাড়া হাবি মোড়ল প্রতিনিয়ত কপিলার স্বামী ও শশুর শাশুড়ী কাছে কপিলার নামে বিভিন্ন ধরনের আজে বাজে ও খারাপ কথা বলায় কপিলার স্বামী কপিলাকে বাড়ী থেকে তারিয়ে দেয় এবং সেই থেকে কপিলা মোংলা চাঁদপাই এলাকার মিষ্টি পুকুর পাড়ে তার খালা নূর জাহান বেগম এর বাড়ীতে থাকে।
রবিবার (৯ জুলাই) দুপুরে খালা নূর জাহান বেগম এর বসত ঘরের শোবার খাটে কপিলা বিশ্রাম নেওয়া অবস্থায় এবং বাড়ীর অন্যান্য লোকজন কাজে থাকার সুযোগে লম্পট হাবি মোড়ল কৌশলে ঘরের ভিতরে ঢুকে শোবার খাটের কাছে এসে হুট করে কপিলার গায়ের উপরে উঠে এবং জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। ঐ সময় কপিলা চিৎকার করলে তার খালাতো বোন মীম সহ খালা ও আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে হাবি মোড়ল দ্রুত দৌড়ে ঘরের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, হাবি মোড়ল একজন লম্পট ও মাদকসেবী। হাবি মোড়ল ভয়াবহ মাদক ইয়াবা সেবন সহ নারী নিয়ে রাতের আধাঁরে নিজের চাহিদা মেটাতে ফুর্তি করাই ছিলো তার মুল টার্গেট। তা ছাড়া এলাকায় জুয়ার একটা বড় সিন্ডিকেট তৈরি করে এই হাবি মোড়ল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবি মোড়লের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস