• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পাহাড়খেকো আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ’কে ঠেকাবে কে ? কাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে চালু হল ”মানবতার দেওয়াল” কালবৈশাখীর ছোবলে মানিকছড়িতে ঘর-বাড়ি ভেঙে চুরমার বিদ্যুৎ লাইন বির্পযয় রামগড়ে বজ্রপাতে গংজ মার্মার মৃত্যু কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব স্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডে অগ্নিকান্ড উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া জেএসএস (সন্তু) খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় মা‌টিরাঙ্গায় সাংবাদিক হাসান আল মামুনের বিরু‌দ্ধে মানববন্ধন মোংলায় নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত নওগাঁয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে উড়োজাহাজ প্রতিকে আবারও ভোট চান সফল ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী সেখ রামগড়ে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে মনিরের নামে হল করার দাবি পিসিসিপি’র

হাবিব / ২১৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

২৮ মে সকাল ১০.০০ টায় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়াকে স্মারকলিপি দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।

স্মারকলিপি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলার সভাপতি মোঃ হাবীব আজম এর নেতৃত্বে অধ্যক্ষ বরাবার দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, নানিয়ারচর উপজেলা পিসিসিপি’র সভাপতি মেহেরাজ হোসেন, সহ- সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ রহমান প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ উল্লেখ করেন,
২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

সেদিনটি রাঙামাটিবাসীর জন্য যেমন আনন্দদায়ক ছিল, তেমনি দিনটি ছিল সমানভাবে বিভিষিকাময়। একদিকে মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন চলছিল অন্যদিকে রাঙামাটি শহরের বনরূপা থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত স্থানটি ছিল উপজাতীয় উগ্রবাদি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও তাদের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ পিসিপি’র সন্ত্রাসীদের হিস্রতা আর উন্মত্ততার বিভিষিকাময় কেন্দ্র। কারণ সেদিন উগ্র উপজাতীয় একটি গোষ্ঠী চায়নি রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ হোক, তারা মেডিকেল কলেজ এর স্থাপন ও উদ্বোধনের বিরোধিতা করে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা শুরু করে।

সেদিন পিসিপি’র হিংস্র হামলায় তরুন যুবক মনিরের একটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়, আহত হয় জামাল হোসেন সহ অসংখ্য সাধারণ বাঙালিরা। হিংসা হানাহানির রেশ ধরে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাঙামাটি জেলার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শহরে কারফিউ জারি করা হয়। তিনদিন রাঙামাটি শহর ছিল নিরব নিস্তব্ধ এবং মৃত্যুপুরির মতো। মানুষ মেডিকেল কলেজ পাওয়ার সাথে সাথে কারফিউ দেখারও অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই ইতিহাস একদিন মানুষ ভুলে যাবে। ইতোমধ্যে অনেকই ভুলেও গেছেন। কিন্তু রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং থাকবে। সেদিন থেকেই দাবি উঠেছিলো রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস অথবা হলরুম যেকোন একটি মরহুম মনিরের নামে করা হোক। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষিত করা হয়েছে।

আমাদের দাবি হলো এভাবে উপেক্ষিত যাতে আর করা না হয় এবং আমাদের চার দফা দাবি সমূহ মেনে নেওয়া হয়। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখা বিভিন্ন ধারাবাহিক কর্মসূচি আরো পালন করবে।

নিম্মে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি’র) রাঙামাটি জেলা শাখার চার দফা দাবি সমূহ।
১। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস দ্রুত করা।
২। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস করা হলে সেখানে শহীদ মনিরের নামে একটি ছাত্র হল করতে হবে।
৩। শহীদ মনিরের পরিবার থেকে যে কোন একজনকে মেডিকেল কলেজে সরকারি চাকরি দিতে হবে।
৪। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পিছনে বাঙালিদের অবদান তাই চাকরি ও ভর্তি ক্ষেত্রে রাঙামাটির বাঙালিদের যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলা কমিটির স্মারকলিপিটি রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ গ্রহণ করেন।

পার্বত্যকণ্ঠ নিউজ/এমএস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ