রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

রোয়াংছড়িতে আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া ৯০ পরিবার

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান:

রোয়াংছড়ি উপজেলায় সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ৮ জন নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে রোয়াংছড়ি উপজেলা খামতাং পাড়ায় মোট ৯০টি পরিবার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন। খেয়াং জনগোষ্ঠীর বসবাসকৃত এই পাড়াটি অর্ধেক পড়েছে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আর অর্ধেক পড়েছে রুমা উপজেলায়।

গত ৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ও কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ৮ জন নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকা জনশুন্য হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা যারা রুমা উপজেলায় পড়েছে ২০ পরিবার পুরুষ-৩১ জন, নারী-৩০ জন শিশু ৩ জন মোট ৬৪ জন সকালে পায়ে হেটে রুমা উপজেলা সদরে বিকেলে পৌঁছে বম সোশ্যাল কাউন্সিলে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১৭৪ জন রোয়াংছড়ি উপজেলায় রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এই ঘটনাস্থল খামতাং পাড়া সাবেক পাড়া প্রধান (কারবারি) পুতুলি খিয়াং বলেন, গতকাল রাতে খাবার শেষে ঘুমোতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় পাড়ার পাশের বনের ভেতর থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পেয়ে প্রাণের ভয়ে পড়নে কাপড় দিয়ে যে যেদিকে পারে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। এভাবে সারারাত জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় পালিয়ে এসেছেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, রুমা ও রোয়াংছড়ির দুই উপজেলার তিনটি গ্রাম খামতাং প্রাংসা পাড়া, পাইক্ষ্যং খামতাম পাড়া, খমংক্ষ্যং পাড়া মিলে ৯০ টি পরিবার নিয়ে খেয়াং জনগোষ্ঠীর পাড়া। এর আমরা ৬৪ জনের অধিক রুমায় আশ্রয় নিয়েছি। আর বাকিরা নাকি রোয়াংছড়ি উপজেলায় আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে গেছেন বলে শুনেছি।

রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা বলেন, খামতাং পাড়াটি তার ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শিশুসহ ৬৪ জন সকাল থেকে পায়ে হেটে রুমা উপজেলা সদরে এসে পৌঁছলে প্রশাসনের সহায়তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, খামতাং পাড়া থেকে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলে ১৭৪ জনকে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে অন্যদিকে রুমা উপজেলায় ৬৪ জনকে বম সোশ্যাল কাউন্সিলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সমন্বয়ে পালিয়ে আসা লোকজনকে খাবার, কাপড় যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এম/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com