মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

লংগদুতে মাইনীমূখ ন্যাশনাল হাসপাতালের ডাক্তার আবু তালহার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ বাজার সদ্য প্রতিষ্ঠিত মাইনীমূখ ন্যাশনাল হাসপাতালের ডাক্তার আবু তালহার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শাজাহান। তিনি জানান আমি গত (২৪মার্চ) গাঁথাছড়া গাড়ি এক্সিডেন্ট করে ডান পায়ের আঙুলে মারাত্মক আগাত প্রাপ্ত হলে ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাই।

হাসপাতালের ডাক্তার আবু তালহা আমার আঙুল কোন প্রকার এক্সরে ছাড়াই বেন্ডেজ করে দেন। এবং দুইদিন পর পর এসে ড্রসিং করে যেতে বলেন। কিন্তু দুই তিন দিন পর দেখি পায়ের একটি আঙুল কালো হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে ২৮ তারিখ হাসপাতালে যাই এবং ডাক্তার আবু তালহার নিকট জানতে চাই যে আঙুল কালো হয়ে গেলো কেন? তখন ডাক্তার মুচকি হেসে বলেন অনেকে এক্সিডেন্ট করে দুই পা, দুই হাত এমনি জীবন ও হারান। আপনার তো আঙুল,মনে কিছু করবেন না আঙুল কেটে ফেলতে হবে। পরে আমরা তাকে বললাম আপনি আগে কেন বলেননি এবং এক্সরে করাতে বললেন না? ডাক্তার তখন কিছু না বলে আমাদের শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে ২৮ তারিখে আমাকে লংগদু উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং এক্সরে করাই। এক্সরে রিপোর্টে দেখা যার আঙুল ভেঙ্গে গেছে। পরে লংগদু সদর হাসপাতাল থেকে খাগড়াছড়ি রেফার্ড করলে সেখানে একটি আঙুল কেটে ফেলা হয়। এবং বাকি আঙুল কেটে ফেলতে হতে পারে বলে সেখানকার কর্মরত ডাক্তার জানান।
পরে নিরুপায় হয়ে ২৮ তারিখ আমি বাদী হয়ে লংগদু থানায় ভুল চিকিৎসার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগে দাখিল করি।

এবিষয়ে মাইনীমূখ ন্যাশনাল হাসপাতালের ডাক্তার আবু তালহা বলেন গত ২৪ তারিখ রোগী শাজাহান ভাই গাড়ি এক্সিডেন্ট করে আঙুলে প্রচন্ড আগাত পেয়ে আমার চেম্বারে আসলে আমি তাকে ব্যান্ডেজ করে দেই এবং বলি দুই দিন পরে এসে ড্রেসিং করে যাওয়া জন্য, আর আমার এখানে যেহেতু এক্স-রে নাই তাই বাহির থেকে এক্সরে করেতে। তার একটি আঙুল বেশি ভেঙ্গে যাওয়াতে আমি তখনই রোগীকে বলি যে ঐ আঙুলটি কেটে ফেলতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে আবু তাহা বলেন রোগীর চাপ বেশি থাকায় চিকিৎসা পত্রে এক্সরে করার নির্দেশনা দেইনি তাবে মুখে বলে দিয়েছি। রোগী ২৮ মার্চ যখন ড্রেসিং করতে আসে তখন দেখি তার একটি আঙুল রক্ত চলাচল বন্ধ। তখন রোগীকে জানাই যে আপনার একটি আঙুল কেটে ফেলতে হবে। পরে তারা চলে যায়। কিন্তু একদিন পরে শুনি আমার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কেন অভিযোগ করেছে? আমার কি দোষ আমি কিছুই জানিনা।
এছাড়াও মাইনীমূখ ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইদ্রিস হোসাইন, পিতা-হাজী ইন্তজ আলী, উক্ত হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নাই বলে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের ব্যপারে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল উদ্দিন বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।

লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ( টিএসও) ডা. মোঃ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন আমি ঘটনা শুনেছি তবে থানায় এবং সিভিল সার্জনে অভিযোগ হয়েছে তা শুনিনি থানা এবং সিভিল সার্জন অফিস থেকে আমাকে জানালে আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিব।

এম/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com