• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

মাসব্যাপী বিজিবি অভিযানে থানচি উপজেলায় শতাধিক একর জমিতে পপিখেত ধংস

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান: / ৬৫৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

বান্দরবানে থানচি উপজেলা প্রত্যন্ত এলাকার তিন্দুতে গহীন অরণ্যের অভিযান চালিয়ে ৪৫ একর পপিক্ষেত ধ্বংস করে পুড়িয়ে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে তিন্দুমুখ বিওপি ক্যাম্প স্বনিকটে কোঅং খুমি পাড়া এলাকায় বিশেষ টহল টিম অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য পপিখেত ধ্বংস করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম পিএসসি সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বিজিবি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) সহকারী পরিচালক ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাষ্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের একটি বিশেষ দল। অভিযানে গহীন অরণ্যের কোঅং খুমি পাড়া এলাকায় ২০টি টিলায় ৪৫ একর জমির পপিক্ষেত ধ্বংস করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান দমন, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পাহাড়ী-বাঙ্গালী সীমান্ত অপরাধ দমনে মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারী হতে ২৩ ফেব্রুয়ারী মাসব্যাপী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি জোয়ানরা ৫ দফা অভিযান চালিয়ে প্রায় শতাধিক একর পাহাড়ী উচু নিচু জমি (টিলায়) ব্যাপক পরিমান নিষিদ্ধ পপিখেত ধংস করে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিজিবি অভিযান যতবার অভিযান করে ততবারই বিপুল পরিমান পপিখেত সন্ধান পাওযা যায়। থানচি উপজেলা ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে গত ২৪ জানুয়ারী হতে ২৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত নিজস্ব গোয়েন্দার তথ্য ভিত্তিত্বে ৫ দফা অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত শতাধিক একর পাহাড়ী উচু নিচু ভূমিতে জুম চাষের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য পপিখেত ধংস করে পুড়িয়ে দিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে ২ নং তিন্দু ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে মেম্বার ক্রানিঅং মারমা পার্বত্য কন্ঠ কে জানান, তিন্দু এলাকা এক শ্রেনির প্রভাবশালী নিষিদ্ধ আফিম আসত্ত হয়েছে। আফিম সেবন না করলে তাদের চলে না। নিজেরা সেবনের জন্য জুম চাষের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য পপি চাষের ঝুকি নিয়েছে। পপি চাষ করে পপি থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া আফিম হয়। আফিম নিজেরা সেবন ও অন্যান্য জায়গা বিক্রি করে একটি লাভজনক বানিজ্যিক আকারে ধারন করেছে।

তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত বিজিবি ধ্বংস করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে পপিখেত আর ও রয়েছে এক টানা অভিযান করে ধ্বংস করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। ধ্বংস হলে এ এলাকার সাধারন মানুষের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ