মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

গোয়ালন্দে সরকারি খাল হতে বালু উত্তোলন ঘরবাড়ি-ফসলী জমি ধ্বসে যাওয়ার আশংকা

সাইফুর রহমান পারভেজ,গোয়ালন্দ প্রতিনিধিঃ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের জৈনদ্দিন সরদার পাড়া এলাকায় প্রবাহমান সরকারি খাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে করে খালপাড়ের বসতবাড়ী, ভিটেমাটি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও প্রাইমারি স্কুল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবিলম্বে ড্রেজার মেশিন বন্ধ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. ইসমাইল খা। তিনি স্থানীয় রোকন উদ্দিন খানের ছেলে। উত্তোলিত বালু তিনি অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশে বেশ কিছুদিন ধরেই এভাবে বালু তুলছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তাকে বাঁধা দিতে গেলে তিনি নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি বড় ড্রেজার মেশিন দিয়ে সেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে আশপাশের পাড় ভেঙে পড়ছে। এ সময় ড্রেজার মেশিন বন্ধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
আলাপকালে মো. হাসেম মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মো. শহিদসহ কয়েকজন বলেন, শুকনো মৌসুমে এই খালের জমিতে তারা বোরো ধান, সরিষাসহ নানা ধরনের কৃষি ফসলের আবাদ করে থাকেন। কিন্তু ৩০/৪০ ফুট গভীর করে বালু তোলার ফলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বসতভিটা, বাড়িঘর ও ফসলী জমি ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
আনোয়ারা বেগম, আকলিমা খাতুন, সাহেরা খাতুন সহ কয়েকজন মহিলা বলেন, শুকনো মৌসুমে এই খালে পানি থাকে না। এখন বাড়ির পাশে এত গভীর করে বালু তোলা হলে তাদের শিশু বাচ্চাদের এই গভীর পানিতে পড়ে প্রানহানির আশংকা রয়েছে।
অভিযুক্ত ইসমাইল খা মুঠোফোনে দাবি করে বলেন, তিনি সরকারী খাল থেকে বালু উত্তোলন করছেন না। পাশেই তার নিজের জমি রয়েছে। সেখান হতে বালু তুলছেন। এতে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ৮/১০ দিন আগেও একবার ওই ড্রেজারটি বন্ধ করে দিয়ে আসি। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হওয়ার দরকার। তারপরও আমি বিষয়টি দেখছি।

এম/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com