মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

মহেশখালীতে পেশায় অধ্যাপক হয়েও কৃষিতে চমক দেখালেন জিয়াউর রহমান

হ্যাপী করিম, স্টাফ রিপোর্টার (মহেশখালী) কক্সবাজার:

মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এর ফলে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে হোয়ানক কলেজের ইংরেজি প্রভাষক জিয়াউর রহমান’র গ্রামের বাড়ি উপজেলা ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিন নলবিলায় এবার এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষে মোট সাড়ে আট একর জমিতে ধানের আবাদ ও সবজি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

জানা যায়, উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের অধ্যাপক জিয়াউর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষি কাজে সফলতায় উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কৃষকের উপাধি পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম এর পরামর্শে এক জমিতে পর্যায়ক্রমে চারটি ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া সবগুলো ফসল উচ্চ ফলনশীল জাতের হওয়ায় এসব ফসলের ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এলাকার কৃষকরা একই জমিতে বছরে চার ফসল আবাদ হওয়ায় বিষয়টি দেখে বেশ আশাবাদী হয়ে ওঠেছেন। সাড়ে নয় বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেন। তিনি জানান, তিনি মোট সাড়ে নয় বিঘা জমিতে প্রায় লাধিক টাকা খরচ করে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেন তাতে ফলন ভাল এবং সংসারে বছরের খোরাক (মওজুদ) রেখে প্রায় লক্ষ লাধিক টাকার ধান বিক্রি করে থাকেন। ৯৩ বীজ ও ৭৫ বীজের ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় বেশ কয়েকজন কৃষক বীজ ধান রাখার জন্য আগাম বলে রেখেছেন। সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিন নলবিলা গেলে স্থানীয় কৃষক জানান, তারা আগামীতে তাদের জমিতে ৯৩ বীজ ও ৭৫ বীজের ধানের আবাদ করবেন।

পাশের জমির কৃষকরা বলেন, ক্ষেতের অবস্থা সব সময় দেখেছি। দেখলাম আবাদের অবস্থা খুব ভালো। আগে তো কেবল বোরো আর আমন ধানই করতাম। এবার চিন্তা করছি, চলতি বোরো মৌসুম থেকে আমার ২ একর জমিতেও বছরে চার ফসল কিভাবে করা যায় সেই ব্যবস্থা নেবো।

এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, দেশে ভাল চাহিদা রয়েছে আর বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের বিষয়টি খুবই আশা জাগানো। এতে শস্যের নিবিড়তা ও উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের আয়ও বেড়েছে। এর ফলে উৎপাদন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূরীকরণ সম্ভব হবে। ধানের বাম্পার ফলন দেখে বেশ কয়েকজন বীজ ধান রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এম/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com