• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন যারা কেএনএফের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ছাত্রলীগের সভাপতি সহ ৭ জন কারাগারে অবৈধ দখলদার হতে ময়লা ডাম্পিং ও সেড নির্মাণের জায়গা উদ্ধারে মানববন্ধন কাপ্তাই উপজেলা সদরে হাঁসের খামারে ধরা পড়লো ১৪ ফুট লম্বা অজগর : কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত  কাপ্তাই লেকে পানি স্বল্পতায় কাপ্তাই-  বিলাইছড়ি নৌ রুটে  নৌ চলাচল ব্যাহত বান্দরবানের রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত খাগড়াছড়ি জেলা পু‌লিশের সকল স্ত‌রে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মাটিরাঙ্গা সা‌র্কেল ও থানা কাপ্তাইয়ে উপকারভোগীদের মাঝে ঋণের চেক বিতরণ  গোয়ালন্দে গণহত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন মানিকছড়িতপ ইয়ুথ দলের অভিজ্ঞতা বিনিময় ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্টিত

মহেশখালীতে পেশায় অধ্যাপক হয়েও কৃষিতে চমক দেখালেন জিয়াউর রহমান

হ্যাপী করিম, স্টাফ রিপোর্টার (মহেশখালী) কক্সবাজার: / ১৬২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২

মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এর ফলে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে হোয়ানক কলেজের ইংরেজি প্রভাষক জিয়াউর রহমান’র গ্রামের বাড়ি উপজেলা ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিন নলবিলায় এবার এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষে মোট সাড়ে আট একর জমিতে ধানের আবাদ ও সবজি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

জানা যায়, উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের অধ্যাপক জিয়াউর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষি কাজে সফলতায় উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কৃষকের উপাধি পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম এর পরামর্শে এক জমিতে পর্যায়ক্রমে চারটি ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া সবগুলো ফসল উচ্চ ফলনশীল জাতের হওয়ায় এসব ফসলের ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এলাকার কৃষকরা একই জমিতে বছরে চার ফসল আবাদ হওয়ায় বিষয়টি দেখে বেশ আশাবাদী হয়ে ওঠেছেন। সাড়ে নয় বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেন। তিনি জানান, তিনি মোট সাড়ে নয় বিঘা জমিতে প্রায় লাধিক টাকা খরচ করে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেন তাতে ফলন ভাল এবং সংসারে বছরের খোরাক (মওজুদ) রেখে প্রায় লক্ষ লাধিক টাকার ধান বিক্রি করে থাকেন। ৯৩ বীজ ও ৭৫ বীজের ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় বেশ কয়েকজন কৃষক বীজ ধান রাখার জন্য আগাম বলে রেখেছেন। সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিন নলবিলা গেলে স্থানীয় কৃষক জানান, তারা আগামীতে তাদের জমিতে ৯৩ বীজ ও ৭৫ বীজের ধানের আবাদ করবেন।

পাশের জমির কৃষকরা বলেন, ক্ষেতের অবস্থা সব সময় দেখেছি। দেখলাম আবাদের অবস্থা খুব ভালো। আগে তো কেবল বোরো আর আমন ধানই করতাম। এবার চিন্তা করছি, চলতি বোরো মৌসুম থেকে আমার ২ একর জমিতেও বছরে চার ফসল কিভাবে করা যায় সেই ব্যবস্থা নেবো।

এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, দেশে ভাল চাহিদা রয়েছে আর বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের বিষয়টি খুবই আশা জাগানো। এতে শস্যের নিবিড়তা ও উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের আয়ও বেড়েছে। এর ফলে উৎপাদন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূরীকরণ সম্ভব হবে। ধানের বাম্পার ফলন দেখে বেশ কয়েকজন বীজ ধান রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ