মাগুরা সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বেষ্টপুর হাফসা(রাঃ) কওমি মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা শামছুদ্দিনের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে, মুখের মধ্যে মরিচ পুরে দিয়ে, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও শরীরের উপর পা দিয়ে পিষে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শিশু ছাত্রী আরিফা খাতুন(৭) সে পার্শবর্তী পয়ারী গ্রামের হোসেন শেখের মেয়ে। শিশুটির মা জানান,আরিফাকে শামছুদ্দিন হুজুরের অনুরোধে ঐ মাদ্রাসায় দ্বীনি শিক্ষার জন্য দিয়েছিলেন কিন্তু মেয়েটির প্রথম থেকেই মাদ্রাসায় পড়ার ব্যাপারে অনীহা ছিল বলে পারিবারিক সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। তাকে গত ০১লা অক্টোবর শনিবার সকাল ৯ টায় মাদ্রাসার ভিতর শিশুটি কান্নাকাটি করলে শিক্ষক মাওলানা শামছুদ্দিন এভাবে অমানুষিক অত্যাচার করেন বলে জানা যায়।
বর্তমানে শিশু ছাত্রী আরিফা মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড ভর্তি আছে কিন্ত শরীরে প্রচন্ড ব্যথার জন্য সারাক্ষণ কাঁদছে। কোনো কিছুতেই যেন তার কান্না থামানো যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে অতীতেও শামছু হুজুরের বিরুদ্ধে এরকম শিশুনির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে এবং তার পরিচালিত এই মাদ্রাসাটির সরকারের কোনো অনুমোদন নেই ও কোনো পরিচালনা কমিটিও নেই। এদিকে মাদ্রাসার হুজুর শামসুদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সব অস্বীকার করেন, তিনি দাবি করেন মেয়েটির ঘরে জিনের আছড় আছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল, শিশুটির বাবা হোসেন শেখ প্রশাসনের কাছে এর সুবিচার দাবী করেন।
এম/এস