• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন যারা কেএনএফের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ছাত্রলীগের সভাপতি সহ ৭ জন কারাগারে অবৈধ দখলদার হতে ময়লা ডাম্পিং ও সেড নির্মাণের জায়গা উদ্ধারে মানববন্ধন কাপ্তাই উপজেলা সদরে হাঁসের খামারে ধরা পড়লো ১৪ ফুট লম্বা অজগর : কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত  কাপ্তাই লেকে পানি স্বল্পতায় কাপ্তাই-  বিলাইছড়ি নৌ রুটে  নৌ চলাচল ব্যাহত বান্দরবানের রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত খাগড়াছড়ি জেলা পু‌লিশের সকল স্ত‌রে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মাটিরাঙ্গা সা‌র্কেল ও থানা কাপ্তাইয়ে উপকারভোগীদের মাঝে ঋণের চেক বিতরণ  গোয়ালন্দে গণহত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন মানিকছড়িতপ ইয়ুথ দলের অভিজ্ঞতা বিনিময় ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্টিত

নবীনগরে ৩০ টি বাড়িঘর মেঘনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে

সাধন সাহা জয় , নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: / ২৮২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

বাবারে আমার চারটা ঘরসহ ঘরের সকল মালামাল পানির নিচে দেখতে দেখতে তলিয়ে গেছে, কোন কিছুই রাখতে পারি নাই। কোন রকমে জীবন নিয়ে বেঁচে আছি, পড়নের এই কাপরগোলা ছাড়া আমার আর কোন কিছুই নাই। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো, একমাত্র আল্লাই ভালো জানে। কান্না জড়িত কন্ঠে নদীর পাড়ে বসে এই কথা গুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী চিত্রী কান্দা পাড়ার নদী ভাঙ্গনে সব কিছু হারানো ৭৫ বছরের বৃদ্ধ খোরশেদ আলম ।

নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও দড়ি লাপাং গ্রামে চোখের পলকে ৩০ টি বাড়িঘর ও ঘরের ভিতর থাকা ধান, চাউল,আসবাবপত্র,বাড়ির গাছ পালা, ফসলী জমি জমা, বিদ্যুতের কয়েকটি খুটিসহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল মেঘনার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে এক কাপর নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে কোন রকমে জীবন বাঁচিয়েছেন।
রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনার করাল গ্রাসে ভাঙ্গনের কবলে পরে বাড়িঘড় হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে চিত্রি গ্রামের কান্দা পাড়ার খোরশেদ মিয়া, খায়েস মিয়া,হাছু মিয়া,শাহ আলম মিয়া, জালাল মিয়া, আবেদ মিয়া, বেদন মিয়া, আবু সালাম, মাহফুজ মিয়া, অলেক মিয়া, ওমর আলী, রুপ মিয়া, গোলাপ মিয়া, আমির হোসেন,বিল্লাল মিয়া,সুবুর খান,হান্নান মিয়া, সোরাফ মিয়ার পরিবারগুলো, বাড়িঘর হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে অনেকে।
নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে ওই এলাকার জনবসতিদের মাঝে। বাড়ি ঘর ছেড়ে অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে পরিবার পরিজন নিয়ে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে স্কুল,মসজিদ,মাদ্রাসাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে নবীনগর উপজেলার মানচিত্র পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা আমরা পরিদর্শন করে এসেছি, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে, যাদের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তাদেরকে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, ভাঙ্গন রোধ কল্পে এমপি মহোদয় একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, খুব দ্রæত কাজ শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ