• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বান্দরবানে জলবায়ু ধর্মঘট করেছে ইয়ুথনেট বান্দরবানে যৌথ অভিযানে গণগ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিপির বিক্ষোভ মিছিল মানিকছড়িতে সাংগ্রাই উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা অনুষ্ঠিত সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের সবর উপস্থিতি অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট জনপদ গড়ার অঙ্গীকার তীব্র দাবদাহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট পোল্ট্রি খামারে হাঁসফাঁস অবস্থা! খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সম্মেলন ২০ এপ্রিল ব্যাংকে হামলা: ১৮ নারীসহ ৫৩ কেএনএফ সন্ত্রাসীর রিমান্ড মঞ্জুর মানিকছড়িতে মোবাইল কোর্টে জরিমানা নতুন বাজার আনন্দ মেলা খেলার মাঠে গোলবার প্রদান করলেন কাপ্তাই সেনা জোন চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর অভিযানে সি আর মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার

লামার “রাজা বাবুর” দাম হাঁকছেন ১২ লাখ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ২৬৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

দৈর্ঘ্য সাড়ে ৭ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট। ওজন ১ হাজার ২০০ কেজি বা ৩০ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের কালো এবং সাদা রঙের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।

ষাঁড়ের মালিক বান্দরবানের লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া কাটাপাহাড় গ্রামের খামারি মোঃ আলতাফ হোসেন। তিনি কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। গরুটি দেখতে প্রতিদিন অনেকে ভিড় জমছে তাঁর বাড়িতে। আগামী শনিবার (০২ জুলাই) গরুটি প্রথমবারের মত লামা বাজারে তোলার কথা রয়েছে।

দেশীয় উন্নত জাতের একটি গাভি কে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ২০১৮ সালে এই ষাঁড়ের জন্ম দেয় গাভিটি। জন্মের পর বাছুরটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন মোঃ আলতাফ হোসেন। গরুটি চলনে-বলনে রাজার মতো এবং আকৃতি, গঠন ও দেখতে খুবই সুন্দর বলে ছোট থেকে তার নাম রাখা হয় রাজা বাবু। প্রয়োজন মতো খাবার ও পরিচর্যায় গরুর আকৃতি বাড়তে থাকে। দিনে দিনে গরুটির ওজন বেড়ে ১ হাজার ২০০ কেজিতে এসে দাঁড়ায়। ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে গরুটির ওজন নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বছর গরুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, ষাঁড়টির খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা ও খুদের ভাত। সব মিলে দিনে ২২০ লিটার পানি, ২০-২৫ কেজি দানাদার খাবার ও ১০০-১২০ কেজি কাঁচা-শুকনা ঘাস খায় গরুটি। শুরুর দিকে খাবার কম খেলেও দিনে দিনে তার খাবারের চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যায়। এবছর কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য গরুটি প্রস্তুত করছেন।

মোঃ আলতাফ হোসেন আরো বলেন, এ ধরনের গরু লালন-পালন খুবই কষ্টকর। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে তিনি গরুটি পালন করেছেন। পরিবারের সবাই মিলে যত্ন নিয়ে বড় করেছেন। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। ১২ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গরুটি তিনি কোনো হাটে না নিয়ে বাড়িতে খামারে রেখে অনলাইনে ছবি ও বিবরণ দিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন।

লামা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহসিন রেজা মাসুদ বলেন, খামারি মোঃ আলতাফ হোসেন কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করার জন্য চার বছর শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে তাঁর খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের বড় একটি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। তাঁর জানামতে, লামা উপজেলার কোথাও এত বড় ষাঁড় নেই। তিনি সব সময় ষাঁড়টির পরিচর্যা ও খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। তবে বেশ বড় আকারের ষাঁড় হওয়ায় বিক্রি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত।

রাজা বাবুর বিস্তারিত তথ্য জানতে ও ক্রেতারা যোগাযোগ করতে পারেন। গরুর মালিক- মোঃ আলতাফ হোসেন, মোবাইল- ০১৫৫৬ ৬৪৩৪২০ অথবা ০১৭৬২ ২৬২৩৩০।
এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ