• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কেএনএফ’র সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রুমায় তুমুল গোলাগুলি আতঙ্ক, হতাহতের শঙ্কা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়িতে বৈসাবি ফুটবল টুর্নামেন্টে অংম্রাং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন বান্দরবানে জলবায়ু ধর্মঘট করেছে ইয়ুথনেট বান্দরবানে যৌথ অভিযানে গণগ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিপির বিক্ষোভ মিছিল মানিকছড়িতে সাংগ্রাই উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা অনুষ্ঠিত সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের সবর উপস্থিতি অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট জনপদ গড়ার অঙ্গীকার তীব্র দাবদাহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট পোল্ট্রি খামারে হাঁসফাঁস অবস্থা! খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সম্মেলন ২০ এপ্রিল

লামা দুর্গম ম্রো পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শতাধিক আক্রান্ত, একজনের মৃত্যু

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা / ২৬৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২

লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম মিনতুই পাড়া ও পমপং পাড়া নামে দুইটি ম্রো পাড়ায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ডায়রিয়া রোগে ১ জনের মৃত্যু ও শতাধিক আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার লংক্রাত ম্রো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার স্থানীয়দের মাধ্যমে রূপসীপাড়া আর্মি ক্যাম্প বিষয়টি অবহিত হয়ে আলীকদম সেনা জোনকে জানায়। পরে আলীকদম সেনা জোনের একটি মেডিকেল টিম সোমবার দুপুরে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড় কলারঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প করে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।

মেডিকেল ক্যাম্পে মিনতুই ও পমপং ম্রো পাড়া সহ আশপাশের মোট ১২৫ জন রুগিকে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বিনামুল্যে ঔষধ বিতরন করা হয়। আলীকদম জোনের ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামান তুর্যের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম এই স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে। এসময় দুইটি ম্রো পাড়ার ৩৩ জন শিশু, ৪৬ জন নারী, ৩৬ জন পুরুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়। যাদের ৬০ শতাংশ ডায়রিয়ার রোগী। পাশাপাশি ১০ জন বাঙ্গালী নারী পুরুষ মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা নেয়।

এদিকে অবস্থার অবনতি দুইটি ম্রো পাড়ার ৩৩ জনকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে ২০ জনই ডায়রিয়ার রোগী বলে জানান লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাইনুদ্দিন মাজেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীদের নিবিড় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রোবিন বলেন, হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন। গত ১ সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগের ঔষধের কোন সংকট নেই। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫০টি হলেও অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় মেঝেতেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ