• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

একই দিনে ২ জায়গায় হাজিরা দেওয়া, ছাত্রী নির্যাতনসহ নানা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

আরিফুর রহমান,মদারীপুর: / ১৬৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

একই দিনে ২ জায়গায় হাজিরা দেওয়া, ছাত্রী নির্যাতনের দায়ে প্রশাসনিক বদলি হওয়া, ক্লাস ফাকি দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করা, স্কুলে নিয়মিত না যাওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে সখ্যতা থাকায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছেন ১৪২ নং মাটিভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা আক্তার শাম্মী।

আজ ২১ মার্চ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে ১৪২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফারহানা আক্তার পৌর অফিস সংলগ্ন URC স্ট্রেনিং সেন্টারে ৬ দিনের ট্রেনিং শুরু করেন। গত ২০ মার্চ তিনি ছুটি না নিয়েই আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে যান। অন্যদিকে তিনি ট্রেনিং এ হাজিরা খাতায় ও স্বাক্ষর করেন। এর পূর্বে তার বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ১১১নং চরমুগরিয়া ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাকে প্রশাসনিক বদলী করে বর্তমান কর্মস্থলে পাঠানোর পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিভাগীয় উপ পরিচালক এর পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চিঠি দেওয়া হলেও যার স্মারক নং ৩৮.১৫.০০০০.০০০.২৭.২৩৮.২০-৮৯৪ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। শুধু তাই নয় গত ১৩ জানুয়ারী উক্ত প্রধান শিক্ষিকার স্কুলে দেরিতে যাওয়াসহ নানা অনিয়মের নিউজ ছাপা হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি ফলে দিন দিন তার অনিয়মের মাত্রা বেড়েই চলছে। তিনি কারো আদেশ নিশেধের পরোয়া না করে নিজের ইচ্ছে মতো বেপরোয়া চলা ফেরা করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরোকিয়ায় আসক্তির কারনে তিনি তার স্বামীর নামে যৌতুকসহ একের পর এক নানা ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন বলেও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন বলেন সরকারী চাকুরীর দাপট দেখিয়ে স্বামীকে দূরে রেখে বেপরোয়াভাবে চলা ফেরা করা এই মহিলার বিচার হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিক ফারহানা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিং এ আছি বলে ফোন কেটে দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। আপনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলতে পারেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাশিদা খাতুন বলেন বিষয়টি আমি দেখব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ