• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বান্দরবানে ট্রাক লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীদের গুলি সাজেকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী খাগড়াছড়িতে উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণা তুঙ্গে, সদ্য দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ারা নির্ভার! রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন যারা কেএনএফের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ছাত্রলীগের সভাপতি সহ ৭ জন কারাগারে অবৈধ দখলদার হতে ময়লা ডাম্পিং ও সেড নির্মাণের জায়গা উদ্ধারে মানববন্ধন কাপ্তাই উপজেলা সদরে হাঁসের খামারে ধরা পড়লো ১৪ ফুট লম্বা অজগর : কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত  কাপ্তাই লেকে পানি স্বল্পতায় কাপ্তাই-  বিলাইছড়ি নৌ রুটে  নৌ চলাচল ব্যাহত বান্দরবানের রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত খাগড়াছড়ি জেলা পু‌লিশের সকল স্ত‌রে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মাটিরাঙ্গা সা‌র্কেল ও থানা

কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শহীদ কুঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ২৫১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী শহীদ কুঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রথম প্রহরে কোভিড সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রেখে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের আয়োজনটি গত বছরের মতো এবারও পালিত হয়েছে সীমিত পরিসরে।

প্রভাতফেরি, শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিষয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের হাই স্কুল ক্যাম্পাসে সকাল সাড়ে ৯টায় ভাষা শহীদ ও বিশ্বের প্রতিটি মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুধু বাংলা ভাষা নয় চাকমা, মারমা, ম্রো, সাঁওতাল, গারোসহ বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছ এই অনুষ্ঠানে।

কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ২০০৮ সাল থেকে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে একটু ভিন্নভাবে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে মাতৃভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্যে বিশেষ একটি স্থান ‘শহীদ কুঞ্জ’।

বৃক্ষঘেরা ‘শহীদ কুঞ্জ’ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ইনচার্জ সালেহ আহমেদ বলেন, ‘শহীদরা অমর। তাদের দৈহিক মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু তাঁরা আগামী প্রজন্মের হৃদয়ে বেঁচে থাকে ত্যাগের উদাহরণ হিসেবে। তাই ইট-সিমেন্ট-পাথরের কোনো অবকাঠামো না বানিয়ে, আমরা শহীদদের স্মরণে গাছ লাগিয়েছি। আমাদের এই চত্বরে ১২টি শিমুল গাছ আছে। প্রথম ৫টি ৫ জন ভাষা শহীদদের স্মরণে আর বাকি ৭টি মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের স্মরণে লাগানো হয়েছে। এগুলো চারা থেকে এখন বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এই গাছগুলো থেকে মানুষ, পশুপাখি ও প্রকৃতি যত উপকৃত হবে তা এই শহীদদের জন্যে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে সংযোজিত হতে থাকবে। আর গাছের যত্ন একদিন নিলে হয়, না, প্রতিদিন নিতে হয়। তাই শুধু একটি দিন নয়, আমরা তাদের ৩৬৫ দিন স্মরণ করি গাছগুলো পরিচর্যার মাধ্যমে। দেশের জন্যে শহীদদের অবদান যেহেতু সবচেয়ে বেশি, তাই তাদের সর্বোত্তম সেবা ও সম্মান দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ‘শহীদ কুঞ্জ’।’

আজ থেকে ৭০ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলার অকুতোভয় সন্তানেরা। মায়ের ভাষার জন্যে ত্যাগের এই ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে এই দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ