রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

যোগ্যাছলা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল ১৪৬ পরিবার

রিপন সরকার নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নে হতদরিদ্র, দুস্থ প্রতিবন্ধী ‘, স্বামীহারা বিধবা নারীসহ ভূমিহীনর ১৪৬ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এর সার্বিক তদারকিতে মানিকছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় মানিকছড়ির যোগ্যাছোলা এলাকায় ১৪৬ পরিবারকে সরকারি ঘর দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্বাবধানে ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

উপকারভোগী যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের দুর্গম কালাপানি এলাকার বিধবা সাজেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী নেই আমি পরের জায়গায় দিনমজুরী করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয়। আমার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই।আমার ৫সন্তান তার মধ্যে চার সন্তান প্রতিবন্ধী এসময় অশ্রুসিক্ত নয়নে সরকারি ঘর পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রতিবন্ধীদ নুরুল ইসলাম জানান, ‘আমি সারাজীবনের চেষ্টায়ও যে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারিনি। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে খাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দিয়েছে, আমার জীবনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’ স্বপ্নের সেই বসত ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুলেননি প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম।

যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন বলেন আমার নির্বাচিত এলাকায় ১৪৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৮৬ টি ঘরের চাবি গৃহহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।বাকী ৬০টি ঘরের কাজ প্রায় শেষের দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষরা কোথায় থাকতো, কিভাবে দিন কাটাতো তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটির ফল আজ ভোগ করছেন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। তবে মানিকছড়ির প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ কামাল
উদ্দিনের সাথে দুই দিন দেখা করতে গিয়েও অফিসে পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com