রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

হ্যাঁ, এলাকা আমার, খবর আমার, পত্রিকা আমার। সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

খাগড়াছড়ির নেটওয়ার্ক সমস্যা বেড়েই চলছে

রিপন ওঝা,নিজস্ব প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির সকল উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্থানে গ্রাহকের কাছে মোবাইল নেটওয়ার্ক যন্ত্রণার কারণ উঠে উঠেছে। জেলা শহরের মূল কেন্দ্রে যেমন তেমন উপজেলা পর্যায়ে নেট চালানোই বড় দায়। এতো গ্রাহক পেলেও সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রতিটি অপারেটরগুলো। সরকারি অপারেটর টেলিটক, বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ঘন ঘন নেটওয়ার্ক আসা যাওয়া, নো নেটওয়ার্ক কভারেজ, কল ড্রপট বা কল ফেইলড ও কমিউনিকেশন এ্যারোর কারনে প্রভৃতি চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। সেবার মান ভালো না করে ব্যবসায় টিকে থাকা যায় না।

এ সব অঞ্চলের গ্রাহকেরা জানান, কয়েক বছর আগেই ডিজিটাল যুগে পা রেখেছে বাংলাদেশ। আকাশে উঠছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেড়েছে যোগাযোগ। টুজি(2G) থেকে ফোরজি আসলেও মোবাইল সেবা যাকে বলে তার যথাযথ সামান্যটুকু সেবা উপজেলা পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে না। নেটওয়ার্ক সমস্যা দূরীকরণে কি এসব শুধু লোক দেখানো। সেই হিসেবে আগের 2G নেটের গতিই একধরনের ভালোই ছিলো

ভূক্তভোগী সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ ফোরজি(4G) তো দূরের কথা মোবাইল ব্যবহার করাই বিরক্তিকর হয়েছে উঠেছে। কোথাও কোথাও ফোরজি নেটওয়ার্কে প্রবেশ করলে ২জি(2G) দেখাচ্ছে। থ্রিজি(3G)ও পাওয়া যাচ্ছে না বা দূরের কথা। হঠাৎ নেটওয়ার্কও চলে যাচ্ছে ও আসতে থাকে।
বাস্তবতার নিরিখে জেলা শহরের মোবাইল গ্রাহকরা সহজেই ফোরজি(4G) সুবিধা পেলেও এমন সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাস্থ সাধারণ গ্রাহকরা। নিজের টাকায় বিনিময়ে প্রতি গ্রাহক নেটওয়ার্ক চালানোর মেগাবাইট বা গিগাবাইট ক্রয় করে ব্যবহার করছেন অথচ গতি ধরন কচ্ছপের ন্যায়। কিন্ত বাস্তবের নিরিখে দেখা যায় যে ২টাকার আচারে বা লজেন্সের মেয়াদ থাকে ৬মাস বা তার অধিক। কিন্তু সেখানে অতি পরিতাপের কারণ এই যে, সকল অপারেটরগুলো মোবাইলে ব্যবহৃত মেগাবাইট বা গিগাবাইটের মেয়াদ থাকে খুবই ক্ষীণ সময় থাকে। এ সমস্যা উত্তরণের লক্ষ্যে গ্রাহকগণ নিজে টাকা খরচ করে কাস্টমার কেয়ারের নিকট রিপোর্ট জানালেও কোন প্রকার সমাধান হচ্ছে না। যা নিয়ে প্রতিটি মানুষের মনে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। এরপরেও কচ্ছপের গতিতে চলে মোবাইলের অটো কানেকশন বা নেটওয়ার্কের গতি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তাতে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে কতটুকু সফলতা অর্জিত হয়েছে তা বলা বাহুল্য। কারণ হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটক সহ প্রতিটি অপারেটর কোম্পানিগুলোর নেটের গতিই খুবই নাজুক।

এ বিষয়ে গ্রাহক টমটম চালক সোনাময় চাকমা বলেন জেলার প্রতিটি এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই নাজুক। মোবাইল ঘরের মধ্যে রাখলে নেটওয়ার্কই থাকে না। কোথাও কল করতে হলে আসতে হয় ঘরের বাইরে খোলা আকাশের নিচে। তবুও শোনা যায় না কথা। ঘরে নেটওয়ার্ক না থাকা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারও করতে না পারায় মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানীগুলোর উপর বেশ চটেছেন তারা। আর ইন্টারনেট তো বলতে গেলে পাওয়াই যায় না, এমন নানান ধরনের অভিযোগ করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com