রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

হ্যাঁ, এলাকা আমার, খবর আমার, পত্রিকা আমার। সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

গুইমারাতে ১৬৪ পরিবার পেল মাথা গোঁজার ঠাই

রিপন সরকার নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে মুজিববর্ষে উপজেলার হতদরিদ্র, দুস্থ, প্রতিবন্ধী, স্বামীহারা বিধবা নারীসহ ১৬৪টি অসহায় হতদরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে মাথা গোঁজার ঠাই।

খাগড়াছড়ি জেলাপ্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এর সার্বিক তদারকিতে গুইমারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গুইমারাতে মাথা গোঁজার ঠাই পেলো ১৬৪টি পরিবার। উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন গুইমারা সদর, হাফছড়ি, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন, সহ প্রতিটি ইউনিয়নের দূর্গম এলাকায় হতদরিদ্র দুস্থ, প্রতিবন্ধী বিধবা নারীসহ অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গুইমারা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্বাবধানে ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

উপকারভোগী সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম মুড়া পাড়ার বিধবা কোকলা এিপুরা বলেন, আমার স্বামী নেই আমি পরের জায়গায় দিনমজুরী করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয় আমার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই,অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন সরকারি ঘর পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আবেগাপ্লত কণ্ঠে একাধিক উপকারভোগী জানান, সারাজীবনের চেষ্টায়ও যে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারেননি, অনায়াসে স্বপ্নের সেই বসত ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভূলেননি তারা।

গুইমারা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি সচ্চভাবে করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন। তদারকি কর্মকর্তাদের যাচাই -বাচাই করে হতদরিদ্র,দুস্থ, প্রতিবন্ধি, বিধবাদের অগ্রধিকার ভিওিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ১৬৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে মানুষ বসবাস শুরু করেছে। যারা গৃহহীন ও ভূমিহীন রয়েছে তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আরো ঘর বরাদ্দ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান, তাই আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান,গুইমারা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল।

গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:তুষার আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ১৬৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ১ম পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩৯টি এবং ২য় ধাপে ৬৫টি ২য় পর্যায়ে ৬০টি সহ মোট গুইমারা উপজেলায় ১৬৪টি গৃহ নির্মাণের কাজ বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন করেন গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তারা সকলেই ঘরগুলোর গুণগত মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

গুইমারা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মেমং মার্মা ও হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাথোয়াই চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষরা কোথায় থাকতো, কিভাবে দিন কাটাতো তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটির ফল আজ ভোগ করছেন পাহাড়ের গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com