শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ

হ্যাঁ, এলাকা আমার, খবর আমার, পত্রিকা আমার। সাফল্যের ২ বছর শেষে ৩ তম বছরে দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সংস্করন নিয়ে "দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ" বিশ্লেষন আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনার। দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ পত্রিকায় শুন্য পদে সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে। আপনার এলাকায় শুন্য পদ রয়েছে কিনা জানতে কল করুনঃ 01647627526 অথবা ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে। ভিজিট করুনঃ parbattakantho.com দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ। সত্য প্রকাশে সাহসী যোদ্ধা আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ

আবুল হোসেন ,রাজবাড়ি প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১
  • ২২৫ জন পড়েছেন

দেশের মানুষের কর্মক্ষেত্রের এক বড় নগরী রাজধানীর ঢাকা। কাজে যোগ দিতে হবে, যেতে হবে ঢাকায়। জীবিকার তাড়না করোনা ভাইরাসের লকডাউনকে হার মানায়, হার মানায়বৈরীআবহাওয়াকেও। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শত শত মানুষ তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়েও পার হচ্ছেন পদ্মা নদী।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। ফেরিতে পার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা কম,তবে সেই জায়গা দখল করেছে সাধারণ যাত্রীরা। লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ। ফলে পদ্মা পার হবার একমাত্র উপায় এখন ফেরি। সে কারণে ফেরিতেই যাত্রীদের ঢল নেমেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে কার্যত লকডাউন দেশের বিভিন্ন এলাকা। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরেনি ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়। চলছে না দূরপাল্লার কোনো পরিবহন। তবে এরই মধ্যে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার খবরে চাকরি বাঁচাতে ছুটতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করে তাদের বড় একটা অংশই ঢাকার উদ্দেশে গত কয়েকদিন ধরেই যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও তাদের যাত্রা থেমে নেই। পথে পথে ছোট যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছান তারা। এখানে ফেরিতে করে পদ্মা পার হতে হচ্ছে এই যাত্রীদের।

এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বৈরী আবহাওয়া শুরু হয়। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি আর বাতাস বইতে থাকে। এই আবহাওয়ার মধ্যেই দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই পদ্মা পার হচ্ছে শত শত যাত্রী।

কুষ্টিয়া থেকে আসা পরিবার সহ এক যাত্রী বলেন, একদিকে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি, অন্যদিকে ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কেন যাচ্ছেন ঢাকা? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেটের ক্ষুধার জন্য যাচ্ছি। বাড়িতে এই কদিন তো ছিলাম। কাজ না করলে খাবার আসবে কোথা থেকে? করোনার চেয়েও পেটের ক্ষুধা বড়। কাজে যেতে না পারলে হয়তো চাকরিও থাকবে না।

ঝিনাইদাহ থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ত্রাণের চালে কয়দিন চলে? ইনকাম বন্ধ। অথচ খাওনের মুখ তো বন্ধ হয় না। এইভাবে আর কয়দিন চলা যায়?’

ঘাট সূত্র জানায়, সকাল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীরা ঘাটে আসছে। সকাল থেকে থেমে ঝড়বৃষ্টি থাকায় ফেরিতে করে সব যাত্রীরা পার হচ্ছে।

ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণ যাত্রী পারাপার ফেরিতে পুরোপুরি বন্ধ। এরপরও যাত্রীরা জরুরি কাজের নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। কেউ বলছে অসুস্থ, কেউ বলছে রোগী দেখতে যাবে, কেউবা বলছেন চাকরি বাঁচাতে হলে ঢাকায় যেতেই হবে। আমরা নিষেধ করলেও তারা ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। কিছু বেপরোয়া যাত্রীকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার সাথে ঝড়োবৃষ্টি হওয়ায় ফেরিতে যানবাহন কম। তাই সকাল থেকে সাধারণ যাত্রীরাই পার হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ৯ টি ফেরি চলাচল করছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই পোর্টালের কোনো খেলা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
iitbazar.com