• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
তীব্র দাবদাহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট পোল্ট্রি খামারে হাঁসফাঁস অবস্থা! খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সম্মেলন ২০ এপ্রিল ব্যাংকে হামলা: ১৮ নারীসহ ৫৩ কেএনএফ সন্ত্রাসীর রিমান্ড মঞ্জুর মানিকছড়িতে মোবাইল কোর্টে জরিমানা নতুন বাজার আনন্দ মেলা খেলার মাঠে গোলবার প্রদান করলেন কাপ্তাই সেনা জোন চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর অভিযানে সি আর মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার পাইপ লাইনে ফাটল : ৩ দিন ধরে কেপিএম এ পানি সরবরাহ বন্ধ বাঘাইছড়িতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন কাপ্তাইয়ে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রশাসন প্রতিরোধ করেও ঠেকাতে পারছেনা না যাত্রী পারাপার

আবুল হোসেন, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ / ২৯২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১

করোনা সংক্রমনের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ৫ম দিনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ব্যাপক হারে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়। এ সকল যাত্রী ও যানবাহন পারাপার ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না। অনেকটা ‘প্রয়োজন আইন মানে না’ প্রবাদের মতো অবস্থা দাড়িয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে।

সরেজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা নানা উপায়ে ঢাাকামূখী বহু মানুষ ও ব্যক্তিগত গাড়ী নদী পার হওয়ার জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন। অপরদিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে আসছে শতশত সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা। উভয়মূখী যাত্রীর চাপে
প্রতিটি ফেরি ও ঘাট এলাকায় উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ যাত্রীর মূখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। বেলা ১২টার দিকে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরিঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনছারদের একটি বিরাট দল। ফেরিতে যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তাদের শত বাধার মধ্য দিয়েও ঘাটে আসা কয়েকশ যাত্রী, বেশকিছু মোটর চালক ও ব্যক্তিগত গাড়ী হুড়মুড় করে ঘাটে ভেরা ফেরি ভাষা শহীদ বরকতে উঠে পড়ে। এ সময় তাদের ফেরি থেকে নেমে যেতে বার বার অনুরোধ করলেও অধিকাংশ যাত্রী নামছিলেন না। এতে করে ম্যাজিস্ট্রেট ফেরি ছাড়তে চালককে নিষেধ করেন। পরে তিনি সেনা সদস্য, পুলিশ ও আনছারদের সহায়তা নিয়ে বেশিরভাগ যাত্রী ও মোটর সাইকেল চালকদের এক প্রকার জোর করে ফেরি থেকে নামিয়ে দেন। তবে যৌক্তিক কারণ দেখানো কিছু যাত্রীকে ফেরিতে ওঠার সুযোগ দেন।

এদিকে ৫নং ঘাট দিয়ে পার হতে না পারা যাত্রীরা চলে যান ৬নং ঘাটে। সেখানে অপেক্ষমান একটি ফেরিতে সকল যাত্রী উঠে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনা সদস্যরা ওই ঘাটে গেলেও ততক্ষণে শাপলা শালুক নামের ফেরিটি ঘাট ছেড়ে যায়। এভাবেই নানা
দুর্ভোগ ও বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে দিনভর চলতে থাকে এ রুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার।এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বলেন, দিনের চেয়ে রাতে এ রুট দিয়ে বেশী যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ী পার হচ্ছে। লকডাউনে মানুষ অসহায় পড়েছে। যে কারণে শত বাধা সত্ত্বেও মানুষ
কর্মের উদ্দেশ্যে ছুটে যাচ্ছে। আলাপকালে কুষ্টিয়া থেকে আসা ঢাকায় সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অফিস থেকে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তাকে অনতিবিলম্বে চাকরীতে যোগ দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত
হই।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটে আসা প্রতিটি মানুষই কোন না কোন জরুরী কাজের জন্য এসেছেন। তবে আমরা যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউকে ফেরিতে উঠতে দিচ্ছি না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো: শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটেএম্বুলেন্স, কাচা মালসহ জরুরী যানবাহন পারাপারের জন্য বর্তমানে ৮ টি ফেরি চালু রাখা
হয়েছে। ঘাটে কোন অপেক্ষমান গাড়ি নেই। তবে বিভিন্ন উপায়ে যে সকল যাত্রী ঘাটে আসছেন তারা বাধা প্রাপ্ত হলেও সুযোগ বুঝে ফেরিতে পার হয়ে যাচ্ছেন। মহাসড়কে আটকাতে না পারলেও দুরদুরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের ফেরিঘাটে আটকানো খুব কঠিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ